শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন




বাজার চাঙ্গায় দরকার ১০ হাজার কোটি টাকার তহবিল

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৯

বিনিয়োগের ইচ্ছা ও যথাযথ পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও অর্থ সংকটের কারণে পুঁজিবাজারের স্টেকহোল্ডাররা সক্রিয় হতে পারছেন না। তাই বাজার চাঙ্গা করতে সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা অর্থের জোগান চেয়েছে ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। পুঁজিবাজারে মন্দাবস্থায় ক্রমাগত লোকসানে বিনিয়োগ অনুকূল পরিস্থিতিতেও হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় ব্রোকারেজ হাউস ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় তাঁরা এ প্রস্তাব দেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

স্টেকহোল্ডাররা বলছেন, পুঁজিবাজারকে সাপোর্ট দিতে ও স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা বাড়াতে স্বল্প সুদে ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড খুবই জরুরি। ৬ বছর মেয়াদে ৩ শতাংশ সুদে এই অর্থ পেলে স্টেকহোল্ডারদের সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছেন তাঁরা।

তাঁরা বলছেন, বর্তমানে পুঁজিবাজারে নিম্নমুখিতার অন্যতম কারণ তারল্য সংকট। ক্রমাগত নিম্নমুখী অবস্থায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে লোকসান হলেও শেয়ার ছেড়ে দিচ্ছেন। অন্যদিকে লোকসান ও ফান্ড হাতে না থাকায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও সক্রিয় হতে পারছেন না। কাজেই এই সময়ে স্টেকহোল্ডার তথা পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় ফান্ডের জোগান বাড়ানো খুবই প্রয়োজন বলে মনে করছেন তাঁরা।

ফান্ড পাওয়ার বিষয়ে তাঁদের যুক্তি হচ্ছে, কনজ্যুমার মার্কেটে কোনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়লে বা অস্থিরতা সৃষ্টি হলে সরকার পণ্যের জোগান বাড়িয়ে স্থিতিশীলতা ফেরায়। সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম বাড়লে টিসিবির মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি করে বাজার স্থিতিশীল করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। ঠিক তেমনিই সাম্প্রতিক মন্দাবস্থায় পুঁজিবাজারের লাখ লাখ বিনিয়োগকারী মূলধন নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন। প্রাতিষ্ঠানিক বা বড় বিনিয়োগকারীরা ফান্ডের জোগান পেলে বাজারকে সাপোর্ট দিতে পারবেন। সর্বোপরি ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি পুঁজিবাজার উপকৃত হবে।

এক ডজনের বেশি ব্রোকারেজ হাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংকের শীর্ষ ব্যক্তিদের স্বাক্ষরিত অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয় ও পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় কাজ করছে। এরই মধ্যে কতিপয় সংশোধন বা নীতি সহায়তা পেলেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভূমিকা রাখতে পুঁজিবাজার লড়ছে। ২০১০ সালে পুঁজিবাজারে বড় ধরনের নিম্নমুখী অবস্থার সৃষ্টি হলেও চলতি বছরের শুরুতে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় মূল্যসূচক বৃদ্ধি পায়। তবে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় না থেকে বাজার ক্রমেই নিম্নমুখী অবস্থার দিকে ধাবিত হয়েছে।

ওই চিঠিতে বলা হয়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক এক হাজার ২৪২ পয়েন্ট হ্রাস পেয়েছে। শতকরা হিসাবে ২০.৮৭ শতাংশের বেশি সূচক কমে গেছে। আর বাজার মূলধন কমেছে ৬৫ হাজার ৪১১ কোটি টাকা। নিম্নমুখী এই অবস্থায় গত আগস্ট পর্যন্ত মার্জিন ঋণে নেগেটিভ ইক্যুইটির পরিমাণ ১১ হাজার কোটি টাকা। ক্রমাগত নিম্নমুখী অবস্থায় তারল্য সংকটের কারণে বাজারের স্টেকহোল্ডার স্টক ব্রোকার, স্টক ডিলার ও মার্চেন্ট ব্যাংক সক্রিয় হতে পারছে না। এই অবস্থায় ‘ক্যাপিটাল মার্কেট সাপোর্ট ফান্ড ফর ক্যাপিটাল মার্কেট ইন্টারমিডিয়ারিজ’ নামে স্কিমের আওতায় ১০ হাজার কোটি টাকার ফান্ড প্রয়োজন।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765