শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন




দুই তরুণের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশের ‘কষ্টের’ জয়

নতুনবার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশ: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

একজনের ক্যারিয়ারের ৯ম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, আরেকজনের মাত্র ২য় টি-টোয়েন্টি। সেই দুজন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত আর আফিফ হোসেন ধ্রুব মান বাঁচালেন দেশের। দলের ‘নামীদামী’ সব ব্যাটসম্যানের ব্যর্থতার পর হাল ধরেন তারা। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়েই প্রায় হেরে বসা ম্যাচটি রূপ নিল থ্রিলারে। ৭ম উইকেটে দুজন উপহার দেন ৮২ রানের ম্যাচ বাঁচানো জুটি। এতেই ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৩ উইকেটে হারিয়ে মান বাঁচল বাংলাদেশের। কারণ মাত্র ৬০ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল স্বাগতিকরা। প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন তারকা ব্যাটসম্যানরা।

রান তাড়ায় নেমে সৌম্য-লিটনের ব্যাটে ভালো শুরুর আভাস পেয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলীয় ২৬ রানে দারুণ ছন্দে থাকা লিটন দাসকে (১৯) বোল্ড করে ধ্বংসের শুরু করেন চাতারা। পরের ওভার করতে এসে জার্ভিস তুলে নেন সৌম্য সরকার (৪) এবং মুশফিকুর রহিমকে। দলীয় ২৯ রানে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে (১) মাসাকাদজার তালুবন্দি করে বড় শিকার ধরেন চাতারা। মোসাদ্দেককে নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের ১৬ বলে ১৪ রানের ইনিংস থামে ব্যাট হাতে ধ্বংসযজ্ঞ চালানো রায়ান বার্লের বলে। নিজেকে প্রমাণ করার দারুণ এক মঞ্চ পেয়েছিলেন সাব্বির রহমান (১৫)।

কিন্তু নেভিল মাদজিভাকে ছক্কা মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে সেই বার্লের চোখ ধাঁধানো এক ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ধ্বংস্তুপে দাঁড়িয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন দুই তরুণ মোসাদ্দেক আর আফিফ। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা আফিফ ২৪ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন। ৫২ রানে আফিফ যখন আউট হন বাংলাদেশ তখন জয় থেকে ৩ রান দূরে। ভাঙ্গে ৮২ রানের অসাধারণ জুটি। হাতে ছিল ৪ বল। সাইফউদ্দিন আর মোসাদ্দেক মিলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। উইনিং শট নেন সাইফউদ্দিন (২ বলে ৬*)। ২৪ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। ২ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের থ্রিলিং জয় পায় বাংলাদেশ।

এর আগে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কর্তিত ১৮ ওভারের ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে। বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করেন ব্রেন্ডন টেইলর। দ্বিতীয় ওভার তথা অভিষিক্ত তাইজুলের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ব্রেক থ্রু পায় বাংলাদেশ। তার বলে মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েন ৬ রান করা টেইলর

বোলিংয়ে এসেই আঘাত হানেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাকে পুল করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে মোসাদ্দেক হোসেনের তালুবন্দি হন ক্রেইগ আরভিন (১১)। ভাঙ্গে ৪৪ রানের জুটি। ডানা মেলতে শুরু করেছিলেন হ্যামিল্টন মাসাকাদজা। মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনের বলে চমৎকার এক ডাইভিং ক্যাচে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ককে ৩৪ রানে থামান সাব্বির রহমান। মোসাদ্দেক বোলিংয়ে এসেই কট অ্যান্ড বোল্ড করেন শন উইলিয়ামসকে (২)। সাকিব-মুস্তাফিজের যৌথ প্রচেষ্টায় টিমিচেন মারুমা (১) রান-আউট হলে ৬৩ রানে ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

ইনিংসের ১৬তম ওভারে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ অধিনায়ক বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের এক ওভারে ৩ ছক্কা ৩ চারে ৩০ রান নেন জিম্বাবুয়ের মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান রায়ান বার্ল। এরপর ফ্লাডলাইট নিভে গেলে ৮ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। ম্যাচশেষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৮ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান। বার্ল ৩২ বলে ৫৭* আর মুতাম্বোডিজি ২৭* রানে অপরাজিত থাকেন। এই দুজনের অবিচ্ছিন্ন ৬ষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৮১* রান।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765