শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৪৮ অপরাহ্ন




ইমরান খানের ভাষণের পর স্বাধীনতার দাবিতে উত্তপ্ত কাশ্মীর

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশ: রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইমরান খান শুক্রবার বক্তব্য দিতে গিয়ে কাশ্মীর প্রসঙ্গে বিশ্ব নেতাদের সতর্ক করে বলেছেন, কাশ্মীর থেকে কারফিউ উঠে গেলে সেখানে রক্তবন্যা বয়ে যেতে পারে। হাজার হাজার কাশ্মীরিকে গৃহবন্দি এবং গ্রেফতার করায় এসময় ভারতের নিন্দা জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিকে, ইমরান খানের ভাষণের পর কাশ্মীরে বিক্ষোভের আশঙ্কায় ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করেছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। শনিবার ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের গুলিতে অন্তত ছয় কাশ্মীরির প্রাণহানি ঘটেছে বলে জানা যায়।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, কাশ্মীরের শ্রীনগরের ১২ মাইল উত্তরের গান্দেরবলে তিন কাশ্মীরি তরুণ নিহত হয়েছে। এছাড়া জম্মু এবং শ্রীনগরের মধ্যে সংযোগকারী মহাসড়কের বাটোটের কাছে পুলিশের তল্লাশি অভিযানের সময় আরো তিনজনের প্রাণহানি ঘটে।
এদিকে, প্রায় ৫০ মিনিটের দীর্ঘ ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর মূল লক্ষ্য ছিল কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। তিনি বারবার বলতে চেয়েছেন, ভারত শাসিত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে গত প্রায় দুই মাস ধরে ৮০ লাখ কাশ্মীরিকে যেভাবে ‘পশুর মতো’ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, তা যে কোনো সময় বিপজ্জনক পরিণতি বয়ে আনতে পারে।

ইমরান খান সাবধান করেন, আশঙ্কা রয়েছে কাশ্মীরি তরুণ যুবকরা যে কোনো সময় সহিংস বিক্ষোভ শুরু করতে পারে, যার জন্য ভারত হয়ত পাকিস্তানকে দায়ী করবে। তিনি বলেন, তেমন কিছু হলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা নাকচ করা যায় না। যে যুদ্ধ পারমাণবিক সংঘর্ষের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তিনি আরো বলেন, যদি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কোনো যুদ্ধ হয়, তাহলে ছোটো দেশ হিসেবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার ছাড়া পাকিস্তানের কোনো বিকল্প থাকবে না।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের এমন ভাষণের পর শুক্রবার গভীর রাতেই হাজার হাজার কাশ্মীরে তাদের বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছেন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান এবং কাশ্মীরের স্বাধীনতা দাবি করেন তারা।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ভারত সরকার জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়া, কাশ্মীর অঞ্চলে গণহারে ধরপাকড়, যোগাযোগ বন্ধ করে রাখা এবং কারফিউ জারি করে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা নেওয়ার পর থেকেই এই অঞ্চলে উত্তেজনা বেড়ে যায়।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765