রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০১:১৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ
বাগেরহাটে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির আহবায়ক কমিটি বাগেরহাটে স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে হাসপাতাল অংশীজনের সভা অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে সিটিজেন টাউন হল মিটিং অনুষ্ঠিত বাগেরহাটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন বাগেরহাটে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে মতবিনিময় সভা বাগেরহাটে সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষন শুরু বাগেরহাটে ই-জিপি সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত সমন্বয় করে কাজ করলে দেশে কোন দরিদ্র মানুষ থাকবে না -মহাপরিচালক, এনজিও ব্যুরো কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন বাগেরহাটে জীবন বীমা কর্পোরেশনের ৫০ বছর পূর্তিতে আলোচনা সভা ( ভিডিও)




অকালে চুল পাকার কারণ ও প্রতিকার

নতুনবার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশ: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চুলের পক্বতা একটি প্রাকৃতিক বিষয়। কিন্তু যখন এ সমস্যা ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে দেখা দেয়, তখন আমরা তাকে অকালপক্ব চুল বা প্রি-মেচিউর গ্র্যায়িং এফ হেয়ার বলে থাকি। প্রি-মেচিউর গ্র্যায়িং এফ হেয়ার মানুষের আত্মবিশ্বাসের একটি বড় প্রতিবন্ধক।

একজন সুস্থ মানুষের শরীরে কয়েক শ লাখ হেয়ার ফলিকন রয়েছে। চুলের রং নির্ভর করে মেলানিন নামক রঞ্জকের ওপর। চুলের রং সাদা বা কালো হওয়া নির্ভর করে মেলানিনের সংখ্যা, আকার এবং উপস্থিতির ওপর।

কারণ

বংশগত ((Familial) : বংশগত কারণে এই রোগ হতে পারে।

জিনতত্ত্ব (Genetic) : কিছু জিনজনিত অসুখ যেমন প্রজেরিয়া, ওয়েজেনার ডিজিজ, ডাউন সিনড্রোম, রোথমন্ড থমসন সিন্ড্রোম।

ভিটামিন ও খনিজের অভাব : নিত্যদিনের খাবারে ভিটামিন বিশেষ করে ভিটামিন ই৬, ই১২, বায়োটিন, ভিটামিন-ডি ও খনিজ- যেমন : আয়রন, কপার, ক্যালসিয়াম, জিকের ঘাটতি থাকলে।

চুলের ডাই এবং অন্যান্য পণ্য : কেমিক্যাল হেয়ার ডাই এমনকি শ্যাম্পু ও চুলের অকাল পরিপক্বতার জন্য দায়ী।

ধূমপান : ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

দীর্ঘকাল স্থায়ী রোগ : দীর্ঘকালীন প্রোটিন ঘাটতি, (Kwashiorkor/Marasmus) কিডনি অসুখ (AGN), অন্ত্রের অসুখ (Malabsorption Syndrome) থেকেও চুলের রঙে পরিবর্তন এসে থাকে।

Auto-immune Disease : এ ক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরের বিরুদ্ধেই কাজ করার জন্য দায়ী। যেমন শ্বেতী (Vitiligo), এলোপেশিয়া এরিয়াটা (Alopecia Areata), থাইরয়েড হরমোন ভারসাম্যহীনতা।

নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ : দীর্ঘদিন একই ওষুধ সেবন করলে চুল পাকতে পারে। যেমন : এন্টিমেলেরিয়াল, মাসেল রিলাক্সেন্ট।

লক্ষণ

সাধারণত প্রথমে মাথার চুল কালো থেকে ধূসর ও পরে সাদা হতে শুরু করে।

পরিবর্তিত চুল কালো চুলের চেয়ে মোটা, অনমনীয় এবং শক্ত হয়ে থাকে।

সাদা চুলের বৃদ্ধির হার কালো চুলের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। সাদা চুল সূর্যরশ্মিতে দ্রুত নষ্ট হয়।

ধীরে ধীরে শরীরে অন্যান্য অংশের চুলেও রং পরিবর্তন শুরু হয়।

পুরুষের ক্ষেত্রে মাথার দুই পাশে ও মহিলাদের ক্ষেত্রে সম্মুখভাগের চুল প্রথম সাদা হওয়া শুরু করে।

চিকিৎসা

রোগের মাত্র (মাইল্ড, মোডারেট, সিভিয়ার) এবং কারণ নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন, খনিজ ও হরমোন প্রতিস্থাপন।

প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ আমিষ, স্বল্প চর্বিজাতীয় ও সুষম খাদ্যাভ্যাস।

ধূমপান পরিত্যাগ ও জীবনধারায় পরিবর্তন।

প্রাকৃতিক হেয়ার ডাইয়ের ব্যবহার।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শ্যাম্পু ব্যবহার।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765