সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩৬ অপরাহ্ন




অকালে চুল পাকার কারণ ও প্রতিকার

নতুনবার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশ: শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চুলের পক্বতা একটি প্রাকৃতিক বিষয়। কিন্তু যখন এ সমস্যা ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের মধ্যে দেখা দেয়, তখন আমরা তাকে অকালপক্ব চুল বা প্রি-মেচিউর গ্র্যায়িং এফ হেয়ার বলে থাকি। প্রি-মেচিউর গ্র্যায়িং এফ হেয়ার মানুষের আত্মবিশ্বাসের একটি বড় প্রতিবন্ধক।

একজন সুস্থ মানুষের শরীরে কয়েক শ লাখ হেয়ার ফলিকন রয়েছে। চুলের রং নির্ভর করে মেলানিন নামক রঞ্জকের ওপর। চুলের রং সাদা বা কালো হওয়া নির্ভর করে মেলানিনের সংখ্যা, আকার এবং উপস্থিতির ওপর।

কারণ

বংশগত ((Familial) : বংশগত কারণে এই রোগ হতে পারে।

জিনতত্ত্ব (Genetic) : কিছু জিনজনিত অসুখ যেমন প্রজেরিয়া, ওয়েজেনার ডিজিজ, ডাউন সিনড্রোম, রোথমন্ড থমসন সিন্ড্রোম।

ভিটামিন ও খনিজের অভাব : নিত্যদিনের খাবারে ভিটামিন বিশেষ করে ভিটামিন ই৬, ই১২, বায়োটিন, ভিটামিন-ডি ও খনিজ- যেমন : আয়রন, কপার, ক্যালসিয়াম, জিকের ঘাটতি থাকলে।

চুলের ডাই এবং অন্যান্য পণ্য : কেমিক্যাল হেয়ার ডাই এমনকি শ্যাম্পু ও চুলের অকাল পরিপক্বতার জন্য দায়ী।

ধূমপান : ধূমপায়ীদের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

দীর্ঘকাল স্থায়ী রোগ : দীর্ঘকালীন প্রোটিন ঘাটতি, (Kwashiorkor/Marasmus) কিডনি অসুখ (AGN), অন্ত্রের অসুখ (Malabsorption Syndrome) থেকেও চুলের রঙে পরিবর্তন এসে থাকে।

Auto-immune Disease : এ ক্ষেত্রে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরের বিরুদ্ধেই কাজ করার জন্য দায়ী। যেমন শ্বেতী (Vitiligo), এলোপেশিয়া এরিয়াটা (Alopecia Areata), থাইরয়েড হরমোন ভারসাম্যহীনতা।

নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ : দীর্ঘদিন একই ওষুধ সেবন করলে চুল পাকতে পারে। যেমন : এন্টিমেলেরিয়াল, মাসেল রিলাক্সেন্ট।

লক্ষণ

সাধারণত প্রথমে মাথার চুল কালো থেকে ধূসর ও পরে সাদা হতে শুরু করে।

পরিবর্তিত চুল কালো চুলের চেয়ে মোটা, অনমনীয় এবং শক্ত হয়ে থাকে।

সাদা চুলের বৃদ্ধির হার কালো চুলের চেয়ে ৪ শতাংশ বেশি। সাদা চুল সূর্যরশ্মিতে দ্রুত নষ্ট হয়।

ধীরে ধীরে শরীরে অন্যান্য অংশের চুলেও রং পরিবর্তন শুরু হয়।

পুরুষের ক্ষেত্রে মাথার দুই পাশে ও মহিলাদের ক্ষেত্রে সম্মুখভাগের চুল প্রথম সাদা হওয়া শুরু করে।

চিকিৎসা

রোগের মাত্র (মাইল্ড, মোডারেট, সিভিয়ার) এবং কারণ নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে।

নির্দিষ্ট মাত্রায় ভিটামিন, খনিজ ও হরমোন প্রতিস্থাপন।

প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ আমিষ, স্বল্প চর্বিজাতীয় ও সুষম খাদ্যাভ্যাস।

ধূমপান পরিত্যাগ ও জীবনধারায় পরিবর্তন।

প্রাকৃতিক হেয়ার ডাইয়ের ব্যবহার।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শ্যাম্পু ব্যবহার।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765