শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১০:৫২ অপরাহ্ন




যশোরে ধর্ষণের ঘটনায় এসআইকে বাদ দিয়েই ডিএনএ টেস্ট চায় পিবিআই

যশোর প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

যশোরে শার্শায় ঘুষ না পেয়ে মাদক মামলার আসামির স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ডাক্তারি পরীক্ষায় পাওয়া ধর্ষণের আলামতের সঙ্গে গ্রেপ্তার তিনজনের ডিএনএ টেস্ট করাতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই পুলিশের এ গুরুত্বপূর্ণ সংস্থার পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়েছে ইন্সপেক্টর শেখ মোনায়েম হোসেনকে। দায়িত্ব পেয়েই ৬ সেপ্টেম্বর তিনি ওই গৃহবধূর বাড়ি যান ও জবানবন্দি গ্রহণ করেন।

এর আগে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের নির্দেশে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেখ মোনায়েম হোসেন বলেন, ভিকটিমের সোয়াপ কালেকশন করে ডিএনএ প্রোফাইলের জন্যে সিআইডি হেড কোয়ার্টারে পাঠানো হয়েছে। তদন্তের অংশ হিসেবে ডাক্তারি পরীক্ষায় পাওয়া ধর্ষণের আলামতের সঙ্গে গ্রেপ্তার তিনজনের ডিএনএ টেস্ট করাতে আদালতে আবেদন করা হয়েছে।

এসআই খায়রুলের সম্পৃক্ততা আছে কিনা, সেটি তদন্তে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটি তদন্তের বিষয়। তদন্তে কারও যদি সম্পৃক্ততা থাকে, তাহলে পরবর্তীতে আপনাদের জানানো হবে।’

এদিকে শার্শা থানার ওসি মসিউর রহমানকে বদলি করা হয়েছে। তবে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, শার্শা উপজেলার লক্ষণপুরের আলোচিত ধর্ষণ ঘটনার সঙ্গে এ বদলির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, শার্শা থানার ওসি মসিউর রহমানকে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বদলি করা হয়েছে। তাকে যশোর পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ বদলির সঙ্গে গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার কোনো সম্পৃত্ততা নেই।

এদিকে, ওই নারী এসআই খায়রুলকে চেনেন এবং ভয়ে তার কথা পুলিশের সামনে বলেননি দাবির বিষয়ে শনিবার শার্শা থানার ওসি মসিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে  তিনি বলেছিলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পিবিআই তদন্ত করছে। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’

গত ২ সেপ্টেম্বর শার্শা উপজেলার লক্ষ্মণপুর এলাকায় ওই গৃহবধূর বাড়িতে গভীর রাতে যান এসআই খায়রুল ও তার সোর্স কামরুলসহ চারজন। তারা ওই গৃহবধূর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এসআই খায়রুল ও কামরুল তাকে ধর্ষণ করেন বলে ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন।

তবে ওই রাতেই শার্শা থানায় যে মামলা করা হয় সেখানে এসআই খায়রুলের নাম বাদ দিয়েই বাকি তিনজনের নাম রাখা হয়।

৩ সেপ্টেম্বর সকালে ওই গৃহবধূ যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা করাতে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ওইদিন রাতেই শার্শা থানায় মামলা করেন গৃহবধূ। মামলায় এসআই খায়রুলের নাম না থাকায় তোলপাড় হয়। এ ঘটনা তদন্তে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত প্রমাণিত হয়।

এদিকে শুক্রবার সকালে ওই গৃহবধূ সাংবাদিকদের বলেন, ভয়ে সেদিন রাতে এসআই খায়রুলের নাম বলতে পারেননি। এ ঘটনার সাথে এসআই খায়রুল জড়িত বলে তিনি দাবি করেন। মামলার এজাহার নামীয় তিন আসামিকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765