ঢাকার জাতীয় হ্নদরোগ ইনষ্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে আসা জিহাদ জোমাদ্দার নামে ১৪ বছর বয়সী কিশোর ও তার পরিবারের সন্ধান পেয়েছে বাগেরহাটের স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার বেলা এগারোটার দিকে জেলার সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের বড় বাঁশবাড়িয়া গ্রামে তাদের সন্ধান পায় স্বাস্থ্য বিভাগ। ওই বাড়িটি অবরুদ্ধ করে দেয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত কিশোরকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। কিশোরসহ ওই বাড়ির ১৪ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনার ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের বাড়ি থেকে না বেরোনোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির দুপুরে এই প্রতিবেদককে বলেন, বাগেরহাট থেকে এক ব্যক্তি হ্নদরোগের চিকিৎসা করাতে তার কিশোর ছেলেকে নিয়ে গত ১৮ এপ্রিল দিনগত গভীর রাতে অথাৎ ১৯ এপ্রিল জাতীয় হ্নদরোগ ইনষ্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ১৯ এপ্রিল ওই কিশোরের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দিলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠায়। সেখানে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসা গ্রহন করে। ঐদিন ছাড়পত্র নিলে চিকৎসকরা আইইডিসিআরে রিপোর্ট পজেটিভ হলে কুর্মিটোলা বিশেষায়িত হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন আর নেগেটিভ হলে বাড়ী যেতে বলেন। রিপোর্ট না নিয়ে ওই কিশোরকে নিয়ে তার পরিবার বাগেরহাটে চলে আসেন।
মঙ্গলবার আইইডিসিআরের পরীক্ষায় তার শরীরে করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। করোনা পজেটিভের কথা ফোন করে ওই কিশোরের বাবাকে জানালে তারা কোথায় আছেন তা জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বুধবার সকালে প্রশাসনের সহযোগিতায় তাদের সন্ধান পেয়ে সেখানে যেয়ে যাই। সেখানে গিয়ে করোনা আক্রান্ত কিশোরের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। কিশোরটি সুস্থ্য স্বাভাবিক রয়েছে। তার চিকিৎসা বাড়ি রেখেই দেয়া হবে। তার সংষ্পর্শে আসা পরিবারের ১৩ জনকে সনাক্ত করা হয়েছে। ওই কিশোরসহ পরিবারের নারী পুরুষ মিলিয়ে ১৪ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনার ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আশেপাশে আর কোন বাড়ি না থাকায় ওই বাড়ি দুটি অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
ভিডিও দেখুন