মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:০৫ অপরাহ্ন




খুলনার শাপলা ক্লিনিকে তিন দিনের ব্যবধানে ২ প্রসুতির মৃত্যু

খুলনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০১৯

 

খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় শাপলা ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়গনষ্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত ৩ দিনের ব্যবধানে দুই প্রসুতির মৃত্যু হয়েছে। ক্লিনিকটিতে গত মঙ্গলবার নাসরিন নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। তার রেশ কাটতে না কাটতেই শুক্রবার আবারও এক প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই ক্লিনিকটিতে স্থানীয় মানুষ ভাঙচুর করেছে। ক্লিনিকের মালিক তাপস মিস্ত্রি পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে ওই ক্লিনিকে উপজেলার গজালিয়া গ্রামের আলমগীর ফকিরের স্ত্রী মারুফা খাতুনের (২৫) সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানো হয়। কপিলমুনি ১০ শয্যা হাসপাতালের ডাঃ আব্দুর রব ও পাইকগাছা হাসপাতালের নীতিশ গোলদার তাকে সিজার কওে চলে যান। ওই প্রসূতির রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় চিকিৎসক ডেকে আনলে একই রোগীর আবারও অপারেশন করে জরায়ু ফেলে দেয়। এ সময় প্রসূতির অবস্থা আরও খারাপ হলে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সুকৌশলে খুলনায় পাঠালে পথেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে রোগীর স্বজন ও স্থানীয় এলাকাবাসি ক্লিনিকটিতে ভাঙচুর চালায়। এ সময় ক্লিনিকের অন্যন্য কর্মচারিরা পালিয়ে যায়।

প্রসূতির স্বামী আলমগীর ফকির অভিযোগ করে বলেন, তার স্ত্রীর সিজার করার পর পরই ডাক্তার ক্লিনিক থেকে বেরিয়ে যায়। পরে নার্সরা রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ডাক্তারকে খবর দেন। তারা এসে কাউকে কিছু না জানিয়ে আবারও অপারেশন করেন। পরে তারা জোর করে একটি গাড়ীতে আমাদের খুলনায় পাঠিয়ে দেয়। সেখানকার হাসপাতালে নিলে রোগী মারা গেছে বলে জানিয়ে দেয়।

জানতে চাইলে ডাঃ আব্দুর রব বলেন, রোগীর সিজার করার পর রক্ত বন্ধ না হওয়ায় আরেকটি অপারেশন করে জরায়ু কেটে ফেলে দেয়া হয়। ওই সময় রোগী সুস্থ ছিল পরে কিডনি ফেল করলে খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা আলাউদ্দীন হোসেন বলেন, ক্লিনিকটি চলে ভাড়া করা ডাক্তার দিয়ে। তারা অপারেশনের পর রোগী ফেলে চলে যায়। রোগীর পরবর্তি চিকিৎসা দেওয়ার মত ডাক্তার না থাকায় প্রতিনিয়তই সেখানে দূর্ঘটনা ঘটে। এর আগেও রোগী মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিছু দিন পর আবার চালু হয়েছে। তিনি ক্লিনিকটি স্থায়িভাবে বন্ধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।

জানতে চাইলে খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ এএসএম আঃ রাজ্জাক বলেন, রোগী মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। দ্রুত ওই ক্লিনিক ও তার মালিকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765