মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৮ অপরাহ্ন




ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি এক ধরনের ব্যবসা!

নতুনবার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশ: শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
ক্যানসার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি এক ধরনের ব্যবসা!

কেমোথেরাপি হচ্ছে বিভিন্ন ওষুধের মাধ্যমে শরীরে থাকা ক্যানসারের কোষকে ধ্বংস করা। এক্ষেত্রে ওষুধ ইনজেকশনের মাধ্যমে রোগীর শরীরে প্রয়োগ করা হয়। অনেক দিন ধরে একটু একটু করে ওষুধ রক্তে মিশে যায়। কেমোথেরাপি নিলে ভয়াবহ রকমের বমির পাশাপাশি শরীরে খিচুনি হয়। ক্ষুধা একেবারে কমে যায়। শরীর প্রচণ্ড রকম দুর্বল এবং মানসিক অবসাদ দেখা দেয়। মাথার চুল এবং চোখের ভ্রু পড়ে যায়।

প্রশ্ন হচ্ছে, ক্যানসার হওয়ার পর কেমোথেরাপি দিলে রোগটি নির্মূলের হার কতখানি? কেমোথেরাপিকে ক্যানসার নিরাময়ের সবচেয়ে ভালো চিকিৎসা বলে মনে করা হয়। কিন্তু আশ্চর্যজনক হলেও সত্য হলো প্রাণঘাতী ক্যানসারে মানুষ মারা যাওয়ার পেছনে প্রধান দায়ী এই কেমোথেরাপি।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. হার্ডিন বি জোনস ক্যানসার চিকিৎসায় কেমো ও বিভিন্ন থেরাপির ব্যবহার নিয়ে ২৫ বছর ধরে গবেষণা শেষে এমন তথ্য দিয়েছেন। গবেষণায় তিনি উল্লেখ করেন, ক্যান্সার চিকিৎসা এক ধরনের ব্যবসা, যা শিল্প কারখানা প্রতিষ্ঠার চেয়েও বেশি লাভজনক। এই ব্যবসায় প্রতিটি ডাক্তার, হাসপাতাল, ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি এবং সংশ্লিষ্ট সবাই জড়িত।

ব্যবসাটা তখনই শুরু হয়, যখন কোনও রোগী মারাত্মক রোগের তথাকথিত চিকিৎসা, যেমন: কেমোথেরাপি, রেডিয়েশন বা শরীরের কোনও অংশের জটিল চিকিৎসার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। রোগীদের যারা কেমো নিতে আসেন, তারা একটি ভয়ংকর পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে যান। কেমো নেওয়া রোগী অন্য যে কোনও চিকিৎসা পদ্ধতির চেয়ে দ্রুত মারা যান এবং অধিক যন্ত্রণা ভোগ করেন। এসব বিষয়গুলো কঠিন গোপনীয়তার মধ্যে করা হয়। কারণ এখানে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ব্যবসা জড়িত।

নিউইয়র্ক একাডেমি অব সায়েন্সে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, কেমোথেরাপি নেননি, এমন রোগী কেমো গ্রহণকারীর চেয়ে সাড়ে ১২ বছর বেশি বাঁচেন। কেমোথেরাপি নেয়ার তিন বছরের মধ্যে রোগী মারা যান। এমনকি কেমোথেরাপি শুরুর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অনেকে মারা যান। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত নারীরা যারা প্রচলিত বিভিন্ন থেরাপি নেননি তারা অন্যদের চেয়ে চারগুণ বেশি সময় বাঁচেন।

তিনি বলেন, এসব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় না। যাতে করে কেমোথেরাপি ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ- এরকম মিথ ছড়ানো অব্যাহত থাকে।

১৯৭৯ সালের আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের একটি গবেষণায় দেখা যায়, চিকিৎসায় ব্যবহৃত এখন পর্যন্ত কোনও থেরাপি প্রকৃতপক্ষে ক্যানসারের নিরাময়ে কিংবা মানুষকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা রাখতে পারেনি।

ক্যানসার নিরাময়ে বিভিন্ন থেরাপির ভূমিকা নিয়ে ১৯৭৮ সালেও দুটি গবেষণা করা হয়েছিল। যার একটি হয়েছিল ইসরায়েলে ও অন্যটি ব্রিটেনে। এই দুই গবেষণায় ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমো বা বিভিন্ন থেরাপি তেমন কোনও ভূমিকা রাখতে পারে না বলে তথ্য দেয়া হয়।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765