শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:২৩ অপরাহ্ন




এসপির ফেসবুক নকল করে প্রতারণা : বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র গ্রেপ্তার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপারের অফিসিয়াল ফেসবুক আইডি নকল করে ধনাঢ্য নারী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতারণা করে টাকা আদায়ের অভিযোগে আব্দুল হান্নান (২২) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলার পর গত ৫ সেপ্টেম্বর বরগুনার আমতলি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা পুলিশ। গ্রেপ্তার আব্দুল হান্নান বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া গ্রামের নাসির প্যাধার ছেলে। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র।

পুলিশের ধারণা, হান্নান ডিজিটাল প্রতারণাচক্রের সক্রিয় সদস্য। এ চক্রটি প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, রাজনীতিক ও সেলিব্রেটিদের ফেসবুক আইডি হ্যাক কিংবা নকল প্রতারণাসহ বিভিন্ন ধরণের অপরাধ করে যাচ্ছে। তাই বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে পুলিশ।

আজ শনিবার দুপুরে বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ। জেলা পুলিশ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গ্রেপ্তার আব্দুল হান্নান দীর্ঘদিন ধরে পুলিশ সুপারের ফেসবুক থেকে ছবি ডাউনলোড করে একই রকম আরেকটি ফেসবুক আইডি খোলেন। ধানাঢ্য ব্যক্তি ও নারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আর্থিক সুবিধা আদায় করে আসছিলেন। এইসব ব্যক্তিদের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও বিশেষ করে ধনী নারীরা রয়েছেন। এ ধরণের কিছু অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মাঠে নামে পুলিশ। এর ধারাবাহিকতায় ঘটনাটি জানানো হয় পুলিশের উর্ধ্বতন মহলকে। পরে দীর্ঘ অনুসন্ধানে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট তদন্ত করে ওই যুবককে শনাক্ত করে।

এরপর কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলার পর তাকে গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার কিশোরগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালতের বিচারক আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গত মে মাসে পুলিশ সুপারের অফিসিয়াল ফেসবুক আইডির মতো একই ধরণের আরেকটি আইডির অস্তিতের অভিযোগ পাওয়া যায়। পুলিশের সুপারের ফেসবুকটি যেভাবে চালানো হতো, নকলটিও একইভাবে চলতো। নকল আইডি ব্যবহার করে ম্যাসেঞ্জারে তিনি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করতেন। পরিচয়পর্ব শেষে সম্পর্ক কিছুটা মজবুত হলে প্রতরণা শুরু করে। এভাবে অনেক লোকজনের সঙ্গে প্রতারণা করে অনেক টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তিনি কিশোরগঞ্জের কোনো লোকজনকে বন্ধু করতন না। ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে তাকে ব্লক করে দিতেন।

পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, এটি খুবই ভয়াবহ অপরাধ। পুলিশের মতো একটা প্রতিষ্ঠানের আইডির মাধ্যমে প্রতারণা। এর মাধ্যমে আইনশ্খৃলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোসহ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির উপক্রম হয়েছিল। পুলিশকে হেয় প্রতিপন্ন করছিল। কাজেই বিষয়টি স্পর্শকাতর।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765