বাগেরহাটের কচুয়ায় রতন পাইক (৩২) নামের একজন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে হত্যার চেষ্টাকরেছে দুবৃত্তরা। রবিবার রাতে কচুয়া উপজেলার টেংরাখালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে প্রথমে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে ওই রাতেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্ত্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকা জনক। এঘটনায় কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত প্রাইমারী স্কুলের নৈশপ্রহরীসহ ৪ দুবৃর্ত্তকে আটক করে পুলিশ। তারা হলেন, একই এলাকার মধ্য টেংরাখালী প্রাইমারী স্কুলের নৈশ প্রহরী তালিম ফকির (২৮), রুবেল সেখ (২৬) মাসুম বালী (২৮) ও রানা সেখ (২৭)।
কচুয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কচুয়া উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের হেয়ায়েত পাইকের ছেলে রতন পাইক রাতে বাড়ীর সামনে একটি দোকানে বসে বিশ^কাপ ক্রিকেট খেলা দেখছিলেন। খেলা শেষ হতেই ৭/৮ জনের একদল দুবৃর্ত্ত ধারালো অস্ত্র নিয়ে রতনের উপর হামলা করে এলোপাতাড়ী কোপাতে থাকে। এক পর্যায়ে রতন পাইক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে রতনকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। রতনকে পেটে, পিটে, ঘাড়ে চোয়ালে ও দুইহাত কুপিয়ে ক্ষত-বিক্ষত করা হয়েছে। রাতে ঘটনার পর কচুয়া থানার টহল পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে রতনের বক্তব্য শুনে ওই রাতেই একটি প্রাইমারী স্কুলের নৈশপ্রহরীসহ ৪ দুবৃর্ত্তকে আটক করে।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) শেখ শফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বলেন, পুর্ব-শত্রæতার জের ধরে একই এলাকার দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। রাতেই পুলিশ ৪ দুর্বৃত্তকে আটক করেছে। সোমবার দুপুরে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।