বাগেরহাটের শরণখোলার মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া (সতন্ত্র) এবতেদায়ী মাদ্রাসার সুপার ইলিয়াছ জোমাদ্দারের (৪৮) বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করা হয়। ধর্ষণের ঘটনার ১১ দিন পর ওই শিশু ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় এই মামলা দায়ের করেন। মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াছ জোমাদ্দার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত আঃ গফফার জোমাদ্দারের ছেলে। শরণখোলা থানার (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, গত বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল ৭টায় কোরআন শিক্ষার জন্য ওই মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী(১০) মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াছের কাছে যায়। পড়া শেষ হলে সকাল পৌনে ৮টায় মাদ্রাসা সুপার ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে লাইব্রেরী কক্ষে চলে যায়। এসময় কক্ষের দরজা জানালা বন্ধ করে ওইছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ছাত্রীকে হুমকি দিয়ে বলেন, এ ঘটনা কাউকে জানালে তোকে খুন করে ফেলবো। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি গিয়ে তার মাকে ধর্ষণের ঘটনা খুলে বললে, তাৎক্ষনিক মান সম্মান রক্ষার্থে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে মেয়ের প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এতে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়েকে নিয়ে মোরেলগঞ্জের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা করান।
১১ দিন পর মামলার প্রসঙ্গে শিশুর স্বজনরা জানান, তারা সম্মানের ভয়ে এতদিন নীরব ছিলেন। মামলা না করলে অপরাধী রেহাই পাবে এবং সে আবারও একই অপরাধ করবে। তাই এতদিন পর আইনের আশ্রয় নিলেন।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার সরকার মঙ্গলবার সকালে এই প্রতিবেদককে জানান, ধর্ষণের ঘটনার পর আসামী ওইছাত্রীর পরিবারকে বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। কিন্তু ওই পরিবার সোমবার সন্ধায় মামলা দায়ের করেছে। আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।