শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন




দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও দুধে ‘এন্টিবায়োটিক’ পাওয়ার দাবি

নতুনবার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশ: শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯
প্রতীকী ছবি

বাজারে সর্বাধিক বিক্রি হওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত দুধের নতুন ১০টি নমুনার সবক’টিতেই ‘এন্টিবায়োটিক’ পাওয়া গেছে।

দ্বিতীয় দফায় গবেষণা শেষে এমনটাই দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল রিসার্স সেন্টারের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক। শনিবার সেন্টার থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘গত সপ্তাহে আমরা এই পরীক্ষাটি পুনরায় সম্পন্ন করেছি। প্রথমবারের মতো এবারও পূর্বোক্ত ৫টি কোম্পানির ৭টি পাস্তুরিত প্যাকেটজাত দুধের একই জায়গা থেকে সংগৃহীত নমুনা এবং একই জায়গা থেকে খোলা দুধের সংগৃহীত ৩টি নমুনাসহ ১০টি নতুন নমুনায় এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি একই নিয়মে একই উন্নত ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। এর ফলাফল আগের মতোই উদ্বেগজনক। এবারও সবগুলো নমুনাতেই এন্টিবায়োটিক শনাক্ত করা গেছে। এন্টিবায়োটিকের মোট সংখ্যা ছিল ৪টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন, এনরোফ্লক্সাসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন ও লেভোফ্লক্সাসিন)। এর মধ্যে আগেরবারে ছিল না– এমন এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি (অক্সিটেট্রাসাইক্লিন ও এনরোফ্লক্সাসিন)।’

এতে বলা হয়, ‘১০টি নমুনার মধ্যে ৩টিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ৪টি, ৬টিতে পাওয়া গেছে ৩টি এবং একটিতে এন্টিবায়োটিক পাওয়া গেছে ২টি।’

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, ‘ভবিষ্যতেও এই পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষাগুলোর ফলাফল জনস্বার্থে প্রকাশ করার চেষ্টা করবো। আশা করি আমাদের প্রকাশিত এসব তথ্য সংশ্লিষ্ট দুধ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোকে নিজেদের ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতা দূর করে পণ্যের গুণগত মান উন্নত করতে সাহায্য করবে। এরসঙ্গে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাগুলো দুধে এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতির বিষয়টি হালকাভাবে না নিয়ে তা নিয়মিতভাবে পরীক্ষার ব্যবস্থা নেবে এবং এভাবে দেশের দুধের মানের উন্নতি ঘটবে।’

এছাড়া জনস্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগজনক এই সমস্যাটি সমাধানে উদ্যোগী হওয়ার পরিবর্তে বিশেষ কোনো সরকারি কর্মকর্তাকে আর ‘বিদেশি চক্রান্ত’ খুঁজতে হবে না বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

এর আগে গত ২৫ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে পাস্তুরিত ও অপাস্তুরিত দুধে মানবদেহের চিকিৎসায় ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি শনাক্তের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি প্রয়োজনে জনস্বার্থে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থাসমূহকে ল্যাবরেটরিগুলোতে নিয়মিতভাবেই দুধে এন্টিবায়োটিক আছে কি না তা পরীক্ষা করার কথা জানানো হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিএসটিআইয়ের দেড় যুগের পুরনো দুধের স্ট্যান্ডার্ডে (Bangladesh Standard, BDS 1702. 2002) বর্তমানের নয়টি পরীক্ষার সাথে কমপক্ষে এন্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টের উপস্থিতি পরীক্ষার মতো দু’টি পরীক্ষা অন্তর্ভুক্ত করে দুধের এই স্ট্যান্ডার্ডকে যুগোপযোগী করার জন্যও আমরা আহ্বান জানিয়েছিলাম। এতে আমরা আরো জানিয়েছিলাম যে, জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতার অনুভব থেকেই আমাদের সীমিত সামর্থ্যে আমরা এই পরীক্ষাটি মাঝে মাঝে করার চেষ্টা করবো।’

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765