বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১৫ অপরাহ্ন




এবার জোহানেসবার্গের মসজিদে বোমা হামলা, ১৬ মুসল্লি আহত

নতুনবার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

অভিবাসী বিদ্বেষী বিক্ষোভ থেকে এবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে মসজিদে পেট্রোল বোমা হামলায় অন্তত ১৬ মুসল্লি আহত হয়েছেন। এছাড়া গত কয়েকদিনে ভাঙচুর অগ্নিসংযোগে দেড় হাজার বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তিনটি সেফ হোমে আশ্রয় নিয়েছেন অন্তত ১২০ জন।

দূতাবাস বাংলাদেশিদের সহায়তার চেষ্টা করছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রিটোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাব্বির আহমেদ চৌধুরী।

বর্ণবাদের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়া নেলসন ম্যান্ডেলার দেশে ১০ দিন ধরেই এমন অভিবাসী বিদ্বেষী তাণ্ডবের শিকার বা্ংলাদেশিসহ বিদেশি ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা।
রাজধানী প্রিটোরিয়া থেকে শুরু হয়ে তাণ্ডব ছড়িয়ে পড়েছে জোহানেসবার্গের অলিগলিতে। ভয়াবহ পরিস্থিতি মার্লবানের জুলিস অ্যাস্টেটে। কেবল এখানেই অন্তত ২শ দোকান এবং ১শ গাড়ি পুড়িয়ে দেয় অভিবাসন বিদ্বেষীরা। হামলা ও লুটপাটের শিকার হন ৫শর বেশি বাংলাদেশিসহ অনেক অভিবাসী। থমথমে অবস্থা জোহানেসবার্গ শহরের স্মল অ্যাস্টেট, এমটিএন ট্যাক্সি র‍্যাংগস, পস্তুরাজসহ অনেক এলাকায়।

এ পর্যন্ত যেসব শহরে হামলা হলো- মার্লবান, পস্তরাজ, টারফন্টেইন, জুলিস স্ট্রিট, আলেকজান্ডার, টকোজা, প্রিমরোজ, নিউল্যান্ডস, প্রিটোরিয়া সিবিডি, ব্রামফিশার, পামব্রিজ, বেনোনী ও রেন্ডপন্টিং।

অভিবাসী বিদ্বেষী হামলায় নিঃস্ব ব্যবসায়ীদের জন্য অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছেন কমিউনিটি নেতারা। ফোর্ডসবার্গ, কার্ণিভাল সিটি ও বক্সবার্গ এলাকার ৩টি সেফ হোমে অস্থায়ীভাবে ঠাঁই নিয়েছেন অন্তত ১২০ বাংলাদেশি ব্যবসায়ী।

ব্যবসায়ীরা জানান, দোকান ভাংচুর, অগ্নিসংযোগের পরও ক্ষ্যান্ত হচ্ছে না অভিবাসী বিদ্বেষীরা।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ী জাকির হোসাইন বলেন, ‘বাংলাদেশিরা বলছেন- গত কয়েকদিনে হাজার খানেক দোকানে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে ৩শ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে তাদের।’

আরেক বাংলাদেশি ব্যবসায়ী সাইফুল বলেন, হামলাকারীদের দাবি, বিদেশিদের কারণে তারা আজ কর্মহীন।

গ্যাং লিডার গাদ্দাফি বলেন, ‘জোহানেসবার্গের প্রতিটি কর্ণারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিদেশিরা। আমরা কাজ পাচ্ছি না, খাবার নেই। পরিবার-পরিজন নিয়ে না খেয়ে থাকি, আর তারা অন্য দেশ থেকে এসে অর্থবিত্ত গড়ছে।’

বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে দেশটির পুলিশ।

দক্ষিণ আফ্রিকা পুলিশ বিভাগের মুখপাত্র লিওনার্ড হেলাথি বলেন, ‘স্থানীয়দের প্রতি আহ্বান, বিশৃঙ্খলা থামান। যারা এসব করছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সংঘাত সৃষ্টিকারীদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।’

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765