শুক্রবার, ২২ মার্চ ২০২৪, ০১:৪১ পূর্বাহ্ন




স্বয়ং আল্লাহর নবীর প্রশংসা পেয়েছেন যে কবি

ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশ: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৯

নিজের সভাকবি হাসসান বিন সাবিত (রা.)-এর কাব্য প্রতিভার প্রশংসা করেছেন স্বয়ং আল্লাহর নবী (সা.)। অনুপ্রেরণা দিয়েছেন তাঁকে সাহিত্যচর্চায়। হিজরতের প্রায় ৬০ বছর আগে ৫৬৩ সালে খাজরাজ গোত্রে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। মদিনায় ইসলাম প্রচারের সূচনালগ্নে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তাঁকে বলা হতো ‘শায়িরুর রাসুল বা রাসুলের কবি’। বংশগতভাবেই তাঁদের পরিবারে কবিতার চর্চা ছিল। ঐতিহাসিক আহমদ ইসকান্দারি বলেন, ‘তাঁর বাবা ও দাদা উভয়েই কবি ছিলেন। তাঁর ছেলে আবদুর রহমান ও নাতি সাঈদও কাব্যচর্চা করতেন।’

আয়েশা সিদ্দিকা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত হাসসান বিন সাবিত (রা.) কবিতা আবৃত্তি শুরু করলে তাঁকে উৎসাহিত করতে কখনো কখনো নবীজি (সা.) সবাইকে শুনিয়ে বলতেন, ‘হাসসানের জিহ্বা যত দিন রাসুলের পক্ষে কবিতা শুনিয়ে যাবে তত দিন তাঁর সঙ্গে জিবরাইলও থাকবে।’ তাঁর কবিতা শুনে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছিলেন, ‘হে হাসসান, আল্লাহর কাছ থেকে তোমার জন্য পুরস্কার হলো জান্নাত।’

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর ইন্তেকালের পর তাঁর স্মরণে হাসসান বিন সাবিত (রা.) লিখেছিলেন অসাধারণ শোকগাথা। লিখেছিলেন, ‘তুমি ছিলে আমার নয়নের মণি/তোমার মৃত্যুতে আমি অন্ধ হয়ে গেছি/এখন অন্য কারো মৃত্যুতে আমার কোনো প্রতিক্রিয়াই হবে না।’

হাসসান বিন সাবিত (রা.)-এর কবিতার বৈশিষ্ট্য হলো তাতে কোরআনের বাক্যাংশ ব্যবহার করা। সুনানে তিরমিজিতে এসেছে, হাসসান বিন সাবিত (রা.)-এর জন্য রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিদে নববীতে একটি মিম্বার স্থাপন করেছিলেন। তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পক্ষ থেকে কাফিরদের নিন্দাসূচক কবিতার উত্তর দিতেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বলতেন, ‘আমার পক্ষ থেকে উত্তর দাও। হে আল্লাহ, রুহুল কুদুস (জিবরাইল আ.)-কে দিয়ে হাসসানকে সাহায্য করো।’

হজরত মুয়াবিয়া (রা.)-এর খিলাফতকালে ৫৪ হিজরিতে ১২০ বছর বয়সে ইসলামের এই মহান কবি ইন্তেকাল করেন।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765