বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৪৩ পূর্বাহ্ন




শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গঠনে ভিটামিন ‘ডি’

নতুন বার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশ: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৯

ভিটামিন ‘ডি’-এর ঘাটতি অন্যতম গুরুতর; অথচ সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। সারাবিশ্বে প্রায় একশ’ কোটি মানুষ ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। বাংলাদেশে অনেকেরই বিশেষ করে বয়স্কদের ভিটামিন ‘ডি’র অভাব রয়েছে।

ভিটামিন ‘ডি’ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের গঠন এবং সংরক্ষণ নিয়ন্ত্রণ করে। আমাদের দাঁত ও হাড়ের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য তথা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ‘ডি’ অত্যন্ত জরুরি এবং রোগ প্রতিরোধেও এটি গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া হাড় ও দাঁতের সুরক্ষা, কিডনি রোগ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ নানা রোগের ঝুঁকি কমাতে এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।

ভিটামিন ‘ডি’-এর উৎস: মানুষের দেহে বয়সভেদে ভিটামিন ‘ডি’র প্রয়োজনীয়তায়ও তারতম্য রয়েছে। একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক কমপক্ষে ৪০০ থেকে ৬০০ আইইউ ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করা দরকার। সাধারণত সূর্যের আলো, খাবার ও প্রয়োজনে ওষুধ গ্রহণের মাধ্যমে ভিটামিন ‘ডি’র দৈনিক চাহিদা পূরণ করা সম্ভব। ভিটামিন ‘ডি’র প্রধান উৎস সূর্যরশ্মি, যা আমরা প্রাকৃতিকভাবেই পেয়ে থাকি। তাই প্রতিদিন হাঁটাচলা বা গায়ে রোদ লাগানো ভালো। দুধ ও দুগ্ধজাত সামগ্রী থেকেও প্রচুর ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। এ ছাড়াও মাশরুম, ডিমের কুসুম, চর্বিযুক্ত সামুদ্রিক মাছ ও মাছের তেল, গরুর কলিজা, বাদাম ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।

যাদের ঝুঁকি বেশি: বয়স ও অবস্থাভেদে এবং নানা কারণে দেহে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি হতে পারে। এই ঘাটতিজনিত ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে- যারা অধিকাংশ সময় ঘরে বসে কাজ করে, গায়ে রোদ লাগায় না, বেশি সানস্ক্রিন ব্যবহারকারী বা সূর্যের আলো কম পায়। এ ছাড়া অপর্যাপ্ত মাছ, দুধ বা ভিটামিন ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণকারী, পরিপাকতন্ত্রের রোগী, দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগী, কালো চামড়াসম্পন্ন লোক, বৃদ্ধ লোক, অধিক স্থূল বা বেশি ওজনসম্পন্ন ব্যক্তির দেহে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি হতে পারে। গর্ভকালে এই ভিটামিনের অভাব হতে পারে।

ভিটামিন ডি’র অভাবে শরীরে যেসব সমস্যা হয়: ভিটামিন ‘ডি’র অভাবে মূলত ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়। ফলে হাড় ব্যথা, বাত ব্যথা, বিশেষ করে ব্যাক পেইন বা পেছনের দিকে ব্যথা; গিরায় গিরায় ব্যথা, হাড় ক্ষয় হওয়া, সামান্য আঘাতে হাড় ভেঙে যাওয়া, পেশির দুর্বলতা, অবসন্ন ভাব, ক্লান্তি ও অবসাদে ভোগা, সারাক্ষণ অসুস্থ বোধ করা ইত্যাদি। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস এবং কিডনি রোগীদের জটিলতা বাড়ে। শিশুদের ক্ষেত্রে শরীরের হাড় ঠিকমতো বৃদ্ধি পায় না। তাদের হাড় নরম বা ভঙ্গুর অথবা বেঁকে যায়, যাকে বলা হয় রিকেটস। আর বড়দের হাড়ের গঠনে বিকৃতি দেখা দেয়, যাকে বলা হয় অস্টিওম্যালাসিয়া।

প্রতিরোধে করণীয়: সারাদিন ঘরে বসে না থেকে মাঝে মধ্যে নিয়মিত পর্যাপ্ত সূর্যালোকে যাওয়া, নিয়মিত ভিটামিন ‘ডি’-সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা। যেহেতু সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনের জন্য ভিটামিন ‘ডি’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাই খেয়াল রাখতে হবে যেন আমাদের শরীরে এর কোনো অভাব না হয়। মনে রাখতে হবে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই জরুরি।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765