শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০৫ অপরাহ্ন




যে কারণে সাকিবের ছোট ভুলটি ‘মারাত্মক’ হয়ে উঠল

নতুন বার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশ: বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৯

বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডারের ওপর আইসিসির দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তোলপাড় চলছে ক্রিকেট বিশ্বে। বাংলাদেশে তো ক্রিকেটপ্রেমীরা একের পর এক মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ করে যাচ্ছেন। বিশ্বের বিভিন্ন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা ইতিবাচক-নেতিবাচক মতামত দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ কিছুতেই বুঝতে পারছেন না যে, কোনো অপরাধ না করে, ম্যাচ ফিক্সিং না করে কেন নিষিদ্ধ হলেন সাকিব? অনেকে এটাকে আবার আশরাফুলের সঙ্গেও তুলনা করছেন। আশরাফুল তো দেশের সঙ্গে বেঈমানী করেছিলেন, সাকিব কিন্তু মোটেও এসব করেননি।

সাকিবের শাস্তি হয়েছে, তিন তিনবার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও আইসিসিকে এর কিছুই না জানানোর কারণে। কিন্তু আইসিসির আইন অনুযায়ী, প্রস্তাব পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থাকে তা জানাতে হবে। সাকিব এই আইনটি অবশ্যই জানেন, কারণ তিনি এমসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট কমিটির একজন সদস্য। এই কমিটি ক্রিকেটের আইন-কানুনসহ নানা পরিবর্তন ও ক্রিকেটের ভালো-মন্দ নিয়ে সুপারিশ করে আইসিসিকে। যদিও শাস্তির ঘোষণার পর সাকিব এই কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন।

আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইনের ২.৪.৪ ধারায় আছে, ‘দুর্নীতি দমন আইনের অধীনে অনৈতিক আচরণে জড়িত হওয়ার আমন্ত্রণের কথা আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী বিভাগের কাছে অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব না করে প্রকাশ করতে ব্যর্থ হওয়া।…. একটি নির্দিষ্ট ম্যাচে যদি কোনো খেলোয়াড় দুর্নীতির প্রস্তাব পায় এবং সেটি দুর্নীতি বিভাগকে জানাতে সে যদি ম্যাচ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে না এবং অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব হিসেবে গণ্য হবে।’

শুধু এমসিসির কমটিতে থাকার কারণে নয়; সাকিব এর আগে অনেকবার দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন এবং নিজের কর্তব্য তিনি ভালোভাবে জানেন। তিনি একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার তথা জাতীয় দলের অধিনায়ক। আইসিসির পর্যালোচনায় এই বিষয়গুলো উঠে এসেছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের সময় সাকিব নিজের দোষ স্বীকার করায় এবং ভবিষ্যতে তরুণ ক্রিকেটারদের এসব বিষয়ে সতর্ক করার কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়ায় সাজা কম হয়েছে।

২০১৭ সালের নভেম্বর, ২০১৮ সালের জানুয়ারি এবং এপ্রিলে সেই ভারতীয় বুকি দিপক আগরওয়াল সাকিবের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যান। সাকিব হয়তো আলসেমি করেই এটা প্রকাশ করেননি। তাছাড়া আগরওয়ালের সঙ্গে সাকিব নিয়মিত কথা চালিয়ে গেছেন। ফোন থেকে কিছু বার্তা মুছে দিয়েছেন। এমনকি ওই ব্যক্তির সঙ্গে দেখাও করতে চেয়েছেন! এসবই আইসিসির সন্দেহ বাড়িয়েছে। আবার আগরওয়ালের সঙ্গে যোগাযোগ ম্যাচের ফলাফলে প্রভাব না পড়ায় সাকিবের সর্বোচ্চ শাস্তি হয়নি। প্রমাণিত হয়েছে, সাকিব ফিক্সারের প্রতিটি প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765