শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৫ অপরাহ্ন




একদিনে ৩ বার দাম বাড়ল পেঁয়াজের

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশ: শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বেড়েই চলেছে পেঁয়াজের দাম। একদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম আরও ১০ টাকা বাড়ল। অথচ দাম বৃদ্ধি ঠেকাতে দু’দিন আগেই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এরপরও দাম কমার বদলে বৃহস্পতিবার আরও বেড়ে গেল।

ঢাকায় এই পণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি আড়ত পুরান ঢাকার শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারে বৃহস্পতিবার দিনভর কয়েক দফা দাম বাড়ে। গত বুধবার আড়তগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তা বেড়ে ৬০ থেকে ৬৩ টাকা কেজিতে কেনাবেচা হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামও বাড়তে থাকে। দুপুরে প্রতি কেজি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকায় ওঠে। রাতে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হয়।

আমদানি পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণে দেশি পেঁয়াজের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বুধবার ৫০ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়। বৃহস্পতিবার সকালে তা ৫৫ টাকায় বেচাকেনা শুরু হয়। দিনভর দাম বৃদ্ধির পরে রাতে তা ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়।

বৃহস্পতিবার পাইকারি বাজারে কেজিতে ১০ টাকা বাড়লেও খুচরায় তেমনটা বাড়েনি। খুচরায় কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ভালোমানের দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা ও সাধারণ দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে পাওয়া গেছে। তবে বাজারভেদে বৃহস্পতিবার দামের তারতম্য অনেক বেশি ছিল।

রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দর ৪২ শতাংশ বেড়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজের দর বেড়েছে ৪৬ শতাংশ।

সংস্থাটির তথ্য মতে, এক সপ্তাহ আগেও দেশি পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা ও আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা ছিল। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দাম প্রায় ৯০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর গত শুক্রবার পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য প্রতি টন ৮৫০ ডলার বেঁধে দিয়ে একটি আদেশ জারি করে। ভারতে মূল্য বৃদ্ধির খবরে কম দামে আনা পেঁয়াজও চড়া দামেই বিক্রি করেছেন ব্যবসায়ীরা। এখন ভারতের বেঁধে দেওয়া দামে আমদানি হচ্ছে। এ কারণে এখন নতুন করে দাম বাড়ছে বলে জানান পাইকারি ব্যবসায়ী মো. আব্দুল মাজেদ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত বছর দেশে প্রায় ১১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এর প্রায় পুরোটা ভারত থেকে আসছে। সামান্য পেঁয়াজ আসে মিয়ানমার থেকে। ভারতে দাম বৃদ্ধির কারণে এখন মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলেও তা মান তুলনামূলক ভালো না হওয়ায় রাজধানীর বাজারে বিক্রি হচ্ছে না। ওই পেঁয়াজ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মিসর, তুরস্কসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানির চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে কম দামে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এখন সীমিত পরিসরে রাজধানীর ৫টি স্থানে ৫ টন বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে একজন ক্রেতা দুই কেজি কিনতে পারছেন।

আগামী সপ্তাহে সারাদেশে পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে ভর্তুকি দিয়ে বিক্রি করবে সংস্থাটি। এর পরে মিসর বা তুরস্ক থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে।

যদিও পেঁয়াজের দাম আর বাড়বে না বলে আশ্বাস দিয়ে আসছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিন্তু কোনো পদক্ষেপই কাজে আসেনি। বাজারে এ পণ্যের দাম খুচরা ও পাইকারি বাজারে আরও বেড়ে যাচ্ছে।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765