শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১০:৫০ পূর্বাহ্ন




৩১ নং ওয়ার্ডকে মডেল হিসেবে গড়তে চাই : ইরোজ আহমেদ অভ্র

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশ: শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২০

জনপ্রতিনিধি না হয়েও এলাকার সকল উন্নয়নের কাজ করেছেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বতন্ত্র কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ইরোজ আহমেদ অভ্র । এছাড়ও এলাকার প্রতিটি সড়কে এলইডি বাতি, পানি সমস্যা নিরসনে পানির পাম্প স্থাপন ও রাস্তার আধুনিকায়নও করেছেন। এলাকাকে মাদক ছিনতাই-চাঁদাবাজমুক্ত করেছেন।

তার পরিকল্পনা আছে, ১ ফেব্রুয়ারি সিটি নির্বাচনে নির্বাচিত হলে পুরো এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার, স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে আধুনিকায়ন, ব্যায়ামাগার, খেলার মাঠ, পাঠাগারসহ নাগরিকদের বিনোদনের ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন করে বাসিন্দাদের উন্নত সেবা ও ড্রেনেজ ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করে জলাবদ্ধতাও নিরসন করবেন। এ ছাড়া আরও অনেক পরিকল্পনা রয়েছে ইরোজ আহমেদ অভ্রর । এবার তিনি এলাকার জনগণের সমর্থনে নিবার্চন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ।

ইরোজ আহমেদ অভ্র বলেন, আমি গত নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলাম। তবে দলের নির্দেশ অনুযায়ী দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছি। এবার আমি মনোনয়নের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু আমাকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়নি । তিনি বলেন, জনগণের সমর্থনে নিবার্চন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার নাগরিক সমস্যা দূর করব। বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর দীর্ঘ ৪ বছর ধরে এলাকা কোন উন্ননে কাজ করেন নাই। না করার সিটি করপোরেশন থেকে যে সব সেবামুলক কাজ আমাদের পাওয়া উচিত ছিল, সেই কাজ গুলো আমি ব্যক্তিগত ভাবে নিজ উদ্যোগে সিটি করপোরেশনের সাথে যোগযোগ করে করেছি। এই ওয়ার্ডের সব চেয়ে বড় সমস্যা ছিলা পানির । পানি সমস্যা নিরসনে পানির পাম্প স্থাপন, প্রতিটি সড়কে এলইডি বাতি ও রাস্তার আধুনিকায়নে আমার অংশগ্রহণ রয়েছে। নির্বাচিত হলে ওয়ার্ডবাসীর জন্য কাজ করা আমার আরও সহজ হবে। তিনি বলেন, আমি দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ নই। এলাকার উন্নয়নে আমি সঠিক ভাবে জনগনের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।

ইরোজ আহমেদ অভ্র বলেন, ঘুড়ি মার্কা নিয়ে তিনি দলমত নির্বিশেষে ঘুড়ি মার্কায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে সকলে প্রতি অনুরোধ জানান। এবং সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ঘুড়ি মার্কা প্রতীক নিয়ে এলাকায় নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছি। আমি বিশ্বাস করি জনগন তাদের ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবে। এই জন্য আমি সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী। আমার সততার প্রতি জনগনের আস্থা রয়েছে শতভাগ। আমি বিশ্বাস করি জনগন আমাকে তাদের শতস্ফুর্ত ভোট দিয়ে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত করবে।

ইরোজ আহমেদ অভ্র আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হলে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করবো। তরুণ-যুবসমাজ যাতে মাদকের দিকে ঝুঁকে না পড়ে, এ জন্য তাদের খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করার ব্যবস্থা নেবেন। এলাকাবাসী যাতে বিশ্বের নানা তথ্য জানতে পারে, এ জন্য পাড়ায় পাড়ায় ফ্রি ওয়াই-ফাই জোন করে দেওয়া হবে। এভাবে যুবসমাজকে মাদক থেকে ফিরিয়ে আনবেন। পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করা হবে। একটি আধুনিক ওয়ার্ড তিনি উপহার দিতে চান।

স্থানীয়রা জানান, এলাকার প্রধান সমস্যা মাদক ও যানজট। সরু সড়কের কারণে ছোট দূরত্বের পথ যেতেও লাগে দীর্ঘ সময়। প্রায় ১৭ হাজার ভোটারের এ ওয়ার্ডটি ঘিঞ্জি ঘনবসতিপূর্ণ ছোটখাটো সরু গলিতে ভরা একটি বাণিজ্যিক এলাকা। ওয়ার্ডটিতে মৌলভীবাজার, বেগমবাজার, আরমানিটোলা, বেচারাম দেউরি, নূর বক্স লেন, আবুল খয়রাত লেন, সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার, নাবালক মিয়া লেন, ঐতিহাসিক তারা মসজিদসহ ২৬টি পাড়া-মহল্লা রয়েছে। ওয়ার্ডের মৌলভীবাজার দেশের অন্যতম বৃহৎ মসলা ও মুদি পণ্যের পাইকারি বাজার। বর্তমান ওয়ার্ড কাউন্সিলর দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় থাকেন না। স্থানীয় বাসিন্দারা জন্ম-মৃত্যুসনদ, নাগরিক সনদ ও ওয়ারিশ সনদ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন। এবার তিনি নির্বাচন করবেন না বলেও জানা গেছে।

ওয়ার্ড পরিচিতি : ডিএসসিসির বংশাল-চকবাজার থানার আগা নওয়াব দেউরী, আজিজুল্লাহ রোড, আবুল খয়রাত রোড, আবুল হাসনাত রোড, আরমেনিয়ান স্ট্রিট, আলী হোসেন খান রোড, এসি রায় রোড, কেএম আজিজ লেন, কেদার নথি দে লেন, গোলাম মোস্তফা লেন, জেল রোড, ডিসি রায় রোড, দিগু বাবু লেন, নাবালক মিয়া লেন, নুর বকস লেন, পদ্মলোচন রায় লেন, বিকে রায় লেন, বেগম বাজার, বেচারাম দেউরী, মকিম কাটারা, মৌলভী বাজার, যোগেন্দ নারায়ণ শীল স্ট্রিট, শরৎচন্দ্র চক্রবর্তী রোড, সেন্ট্রাল জেল, হাফিজ উল্লাহ রোড- এই ২৫টি এলাকা নিয়ে ডিএসসিসির ৩১ নম্বর ওয়ার্ড। এটি সাবেক ৬৭ নম্বর ওয়ার্ড ছিল। এটি মূলত বাণিজ্যিক এলাকা। সিটি কর্পোরেশনের হিসাব মতে, এ ওয়ার্ডের ৮৫ ভাগ এলাকাজুড়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী এ ওয়ার্ডের জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ। এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৬১৪ জন। আরমানিটোলা স্কুল, আরমানিটোলা চার্চ, স্যার সলিমুল্লাহর মাজার, ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লার বাড়ি, তারা মসজিদ এ ওয়ার্ডে অবস্থিত।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765