বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন




স্বামীকে ফিরে পেতে সন্তানকে নিয়ে অনশনে স্ত্রী

লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০১৯

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় দুইদিন ধরে সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ির সামনে অনশন শুরু করেছে রেবিনা বেগম (২৪) নামে এক নারী।

শুক্রবার রাতে স্বামীর বাড়ির সামনের রাস্তায় সন্তানকে শুইয়ে রেখে সারারাত বসে কাটিয়েছেন রেবিনা বেগম। এর আগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বামীর বাড়িতে আসলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে সন্তানকে নিয়ে অনশন শুরু করেন রেবিনা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের মৃত তরিফ উদ্দিনের ছেলে এমদাদুল ইসলামের (২৮) সঙ্গে একই উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পুর্ব সারডুবী গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে রেবিনা বেগমের সাথে ২০০৬ সালে ৮০ হাজার টাকা যৌতুক দিয়ে বিয়ে হয়। বিয়ের পর ভালই চলছিল তাদের সংসার।

এর মাঝেই দুই সন্তানের মা হন রেবিনা বেগম। এমদাদুল ইসলাম ব্যবসার কথা বলে স্ত্রীকে আবারও যৌতুকে টাকার জন্য চাপ দেন। রেবিনা বেগমের বাবা গরীব হওয়ায় টাকা দিতে না পারায় নির্যাতন শুরু করেন এমদাদুল। স্থানীয়ভাবে কয়েকবার সালিশ হলেও কাজে আসেনি। রেবিনা স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবা বাড়ি এসে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

এর মধ্যে আদালতে মামলা চলাকলীন এমদাদুল ইসলাম নীলফামারী জেলার চাপানী এলাকার নাজলী নামে এক নারীকে বিয়ে করে ঘরে নিয়ে আসেন। স্বামীর বিয়ের খবর শুনে রেবিনা বেগম সন্তান রাহুলকে (৭) নিয়ে স্বামীর বাড়ি সামনে দুইদিন ধরে অনশন শুরু করছেন।

এমদাদুল ইসলাম উপজেলার বড়খাতা বাজারের হাজী মসজিদের সঙ্গে একটি দোকান ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যবসা করেন।

রেবিনা বেগম বলেন, স্বামীর বাড়িতে আসলে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। আমি আমার সন্তান ও স্বামীর অধিকার নিয়ে এসেছি। আমার স্বামীকে ডিভোর্স করিনি তাই আমার অধিকার আছে। আমার স্বামীকে ফিরে পেতে চাই। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হতেই পারে তাই বলে আমার অনুমতি না নিয়ে অন্য জায়গায় বিয়ে করতে পারে না। আমি সন্তানকে নিয়ে সারারাত রাস্তায় বসে থাকব। সমাধান না পেলে সন্তানকে নিয়ে আত্মহত্যা করব।

এমদাদুলের মা আলেকজন নেছা বলেন, আমরা কেউ তাকে মারধর করিনি। ওই বউ মামলা করেছে তাই তাকে ঘরে উঠাব না। ওই বউ নিয়ে অনেক ঝামলা হয়েছে তাই ছেলেকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিয়েছি।

এমদাদুল ইসলাম তার সেল ফোনে বলেন, আমি এখন বাজারে আছি আপনার সঙ্গে এ বিষয়ে পরে কথা হবে বলে ফোনটি কেটে দেন।

হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্তকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, মেয়ে পক্ষের কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765