শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন




সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা ও এপিপি ইয়াবাসহ আটক

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯
সংগৃহীত ছবি

সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমনের কর্মী ও জেলা জজ আদালতের এপিপি আমিরুল হক এনামকে ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর তিন মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এনামের সহযোগী মাদক ব্যবসায়ী তাজ আলীকে একই দণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার বিকালে তাদের জেলা কালেক্টরেটের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাকিল আহমেদ এই দণ্ডাদেশ দেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবির ইমনের তদবিরে জজ আদালতের আদালতের এপিপি হওয়া এনাম ইয়াবসহ গ্রেফতারের পর জেলায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইমনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় তোলা একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সোমবার এনামকে নিজ বাসায় থেকে ১৯ পিস ইয়াবাসহ গ্রেফতার করা হয়। এরপর ৩ মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসারও অভিযোগ রয়েছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আমিরুল হক এনাম পৌর শহরের মোহাম্মদপুরে ভাড়া বাসা বসবাস করে আসছেন। সেখানে ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন তিনি। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার বাসায় অভিযান চালায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় এনাম ও তার সহযোগী মাদক ব্যবসায়ী তাজ আলী ইয়াবা সেবন করছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবার আসর ছেড়ে এনাম ও তার সহযোগী তাজ আলী দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের ধাওয়া করে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। অভিযানের সময় এনামের বাসা থেকে ১৯ পিস ইয়াবা ও মাদক সেবনের উপকরণ জব্দ করা হয়।

গ্রেফতারের পর বিকাল সাড়ে ৫টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাদের তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো. সাকিল আহমেদ।

এদিকে, ইয়াবা ব্যবসায়ী অ্যাড. আমিরুল হক এনাম ও শহরের বড়পাড়ার আহম্মদ আলীর ছেলে তাজ আলীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক করেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় শত শত জনতা এনামের বাসার সামনে ভীড় জমায়।

স্থানীয়রা জানান, জগন্নাথপুর এলাকার বাসিন্দা এপিপি আমিরুল হক এনাম শহরের মুহাম্মদপুর এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। আইন পেশায় থাকায় কেউ তাকে ভয়ে কিছু বলতেন না। মাদক ব্যবসাকে সহজে পরিচালনার জন্য স্থানীয় উঠতি বয়সী বেশ কিছু যুবককে সম্পৃক্ত করেছিলেন। গভীর রাতে এসব যুবকের সঙ্গে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকসেবিরা মোটরসাইকেল নিয়ে তার বাসায় ভিড় করতো।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করলেও তিনি এসবের তোয়াক্কা না করে অনেকটা ঘটা করেই মাদক সেবন ও ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক সাজিদুল হাসান, উপ-পরিদর্শক রবিউল্লাহ ও সদর থানা পুলিশের সদস্যরা।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765