শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৬ অপরাহ্ন




শরীয়তপুরে সেই জলমহলে মাছ ধরা বন্ধের নির্দেশ

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার করনহোগলা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরগোপালপুর এলাকায় দখল করা জলমহল পরিমাপ করে সরকারী জমি চিহ্নিত করে মাছ চাষ ও মাছধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে উপজেলা ভুমি অফিস। নড়িয়া উপজেলা সহকারী ভুমি কর্মকর্তার প্রতিনিধি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিসের প্রতিনিধি সরেজমিন তদন্ত করে পরিমাপের মাধ্যমে উপজেলা ওয়ারী অংশ চিহ্নিত করেছেন। উপজেলা ভুমি অফিস বলছে সরকারী জলমহালে অবৈধ মাছ চাষ ও মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের নির্দেশ মোতাবেক পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা ভুমি অফিস ও নড়িয়া উপজেলা ভুমি অফিস সূত্রে জানা যায়, নড়িয়া উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের করনহোগলা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার চরগোপালপুর মৌজা নিয়ে কার্তিকপুর লঞ্চঘাট ছিল। বিগত ৮/১০ বছর পূর্বে ঢাকা থেকে এসে লঞ্চ থেকে যাত্রি উঠা নামা করতো। এ ঘাটের ইজারাদার হিসেবে কার্তিকপুর উচ্চবিদ্যালয়ের নামে ইজারা আদায় করা হতো। পরবর্তীতে নদী শুকিয়ে যাওয়ার পর সরকারের পক্ষে স্থানীয় ঘড়িষার ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহায়তায় জায়গাটি পরিমাপ করে লাল নিশান দিয়ে সীমানা নির্ধারন করা হয়। এরপর ওই জমিটি করনহোগলা মৌজা ও গোপালপুর মৌজার ১নং খাশ খতিয়ানে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। বিআরএস জরিপে সরকারের নামে ১নং খাশ খতিয়ানভুক্ত রেকর্ড করা হয়। এখানে ৩ একর সরকারী জমিতে স্থানীয় প্রভাবশালীরা মাছ চাষ শুরু করে । সে সময় তারা পর পর দুই বার একসনের জন্য বন্দোবস্ত নেয়। এরপর তারা বন্দোবস্ত নবায়ন না করে  দখল করে মাছ চাষ করছে।
সখিপুর ভুমি সহকারী কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম বলেন, পত্রিকার মাধ্য জানতে পেরে কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত করে জমি পরিমাপ করে অবৈধ মাছচাষ ও মাছধরা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষেরল নির্দেশ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে ভদরগঞ্জ উপজেলা সহকারী ভুমিকর্মকর্তা শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জানতে পেরে আমি সার্ভেয়ার পাঠিয়ে সরেজমিন তদন্ত ও পরিমাপ করে জমি চিহ্নিত করেছি। বিরোধীয় জমির অবৈধ দখলদারদের আপাতত মাছ ধরা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে অবহিত করেছি। কতৃপক্ষের নির্দেশ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিব।
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়ন্তি রুপা রায় বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে আমরা সরেজমিন তদন্ত করে সরকারী জলমহালের উপজেলা অংশ চিহ্নিত করেছি। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অফিস চলাকালীন সময় এ ব্যাপারে মিটিং করে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765