শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:০২ অপরাহ্ন




বাজেটে খারাপ সংবাদ আসতে পারে যেসব ক্ষেত্রে

ষ্টাফ রিপোর্টার :
  • প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৯

আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্রসহ বেশ কিছু ক্ষেত্রে দুঃসংবাদ আসতে পারে। সঞ্চয়পত্রের মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ উৎসে কর কাটা হতে পারে। বর্তমানে কাটা হয় ৫ শতাংশ। দুঃসংবাদ আসতে পারে বাড়ির মালিকদের জন্যও। রাজধানী ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন এলাকার বাড়ির মালিকদের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক হচ্ছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করের আওতা বাড়ানোর অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছেন।
এনবিআরের একজন কর্মকর্তা বলেন, রাজধানীর আবাসিক বাড়ির প্রত্যেক মালিকের যাতে ট্যাক্স ফাইল হয়, সে ব্যাপারে এনবিআর কাজ করছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, সঞ্চয়পত্রের সুদের হার না কমলেও মুনাফায় করের হার বিদ্যমান ৫ শতাংশ থেকে বাড়াবে। অবশ্য ২০১৬ সাল পর্যন্ত সঞ্চয়পত্রে মুনাফার ওপর ১০ শতাংশ উৎসে কর কাটা হতো। বর্তমানে ৫ ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে। সঞ্চয়পত্রে বার্ষিক গড় সুদের হার সাড়ে ১১। আগামী অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে ২৭ হাজার কোটি টাকা তহবিলে নিতে চায় সরকার। মূলত বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি করে থাকে।
একইভাবে গার্মেন্টসসহ সব ধরনের রফতানির ক্ষেত্রেও উৎসে কর বাড়তে পারে। গত ১ জানুয়ারি থেকে শতভাগ রফতানিমুখী শিল্পে উৎসে কর ছিল শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ। পোশাকসহ অন্যান্য রফতানিকারকরা পণ্য রফতানি করে ১০০ টাকা আয় করলে এর বিপরীতে সরকারকে কর দিতেন ২৫ পয়সা। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দিতে হতো ৬০ পয়সা।
এছাড়া এবার লোকসানি প্রতিষ্ঠানকেও উৎসে কর দিতে হবে। অতীতে প্রতিষ্ঠান লোকসান দেখিয়ে এ ধরনের কর এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলেও এবার তা বাতিল হচ্ছে। লোকসান করলেও উৎসে কর পরিশোধ করতে হবে। এ ছাড়া ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কোনও ব্যবসাই করা যাবে না। অর্থাৎ যেকোনও ধরনের ব্যবসা করতে হলে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে জেলা, উপজেলা এমনকি গ্রামেও আয়করের আওতা বাড়ানোর বিষয়ে এবার ঘোষণা আসবে।
ধূমপায়ীদের জন্য খারাপ খবর হলো সিগারেটসহ সব ধরনের তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়তে পারে। গত ১০ এপ্রিল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে লেখা এক চিঠিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সব ধরনের সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর প্রস্তাব আমলে নেওয়া হলে বেনসন ও গোল্ডলিফসহ সমমানের ব্র্যান্ডের প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম বাড়বে ৮ টাকা। বর্তমানে বাজারে সর্বনিম্ন প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম ৫ টাকা ও উচ্চস্তরে প্রতিটি ১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়লে এক শলাকা গোল্ডলিফ সিগারেটের দাম হবে ১৬ টাকা এবং বেনসন সিগারেটের এক শলাকার দাম হবে ২০ টাকা।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765