শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন




বাগেরহাটে গ্রাম আদালত বিষয়ে দুই দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ শুরু

বাগেরহাট প্রতিনিধি :
  • প্রকাশ: সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৯
প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন, বাগেরহাটে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম

বাগেরহাটে দুই দিনব্যাপি গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্ভোধন করা হয়েছে। সোমবার সকালে শহরের দশানি এলাকার একটি অভিজাত হোটেলের সেমিনার কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও গ্রাম আদালতের সহকারীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষনে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন, বাগেরহাটে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোঃ জহিরুল ইসলাম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষন প্রদান করেন, ডিস্টিক ফেসিলেটর মহিতোষ কুমার রায়, জেলা সম্বন্নয়কারি মো: আলিউল হাসানাত, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের জেলা সম্বন্নয়কারি মাঃ অলিউল হাসানাত প্রমুখ।


বক্তারা বলেন, গ্রাম আদালত এমন একটি বিচার ব্যবস্থা যেখানে গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় জনগন তাদের ছোট ছোট দেওয়ানী ও ফৌজদারি বিরোধ কম খরচে ও কম সময়ে হয়রানিমুক্ত হয়ে নিষ্পত্তি পেতে পারে। গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করার জন্য বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পের প্রথম পর্যয়ের কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করে। বাগেরহাট জেলা গ্রাম আদালত কে সক্রিয় করার জন্য প্রকল্পের পক্ষ থেকে প্রকল্পভূক্ত ইউপি’র চেয়ারম্যান, মেম্বার, সচিব ও আদালত সহকারীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি একজন করে আদালত সহকারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, প্রতিট ইউপিতে ১ সেট এজলাস ও প্রয়োজনীয় ফরমস সরবরাহ করা হয়েছে এবং বিভিন্ন ধরনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এই প্রশিক্ষণ। গ্রাম আদালত পরিচালনার ক্ষেত্রে ইউপি সচিব ও গ্রাম আদালত সহকারীদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত পরিচালিত হয় গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ (সংশোধন, ২০১৩) এবং গ্রাম আদালত বিধিমালা, ২০১৬ এর মাধ্যমে। গ্রাম আদালত আইন অনুযায়ী অনধিক পচাঁত্তর হাজার টাকা মূল্যমানের ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়। গ্রাম আদালত কার্যকর হলে গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় জনগোষ্ঠী অল্প খরচে, অল্প সময়ে হয়রানি মুক্ত হয়ে স্থানীয়ভাবে ন্যায় বিচার পাবে। বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করার জন্য প্রকল্পটি বাগেরহাট জেলায় সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে গ্রামের দরিদ্র ও অসহায় জনগোষ্ঠী স্থানীয়ভাবে ন্যয়বিচার পাবে, কোর্ট কাচারির হয়রানির হাত থেকে মানুষ রেহাই পাবে এবং আদালতের মামলার চাপ কমবে যা বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765