বন্যপ্রাণী শিকার ও হেফাজতে রাখার অপরাধে বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা যুবলীগের সভাপতির ছেলেসহ তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান র্যাব-১২ সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। এসময় তাদের হেফাজত থেকে পাঁচটি বন্যপ্রাণী তক্ষক উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌরশহরের বারদুয়ারীপাড়া এলাকার বাসিন্দা তারিকুল ইসলাম তারেকের ছেলে শামসুজ্জোহা বিন তারেক নিয়ন (২০), একই উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের চকধলি গ্রামের দলিল উদ্দিন মণ্ডলের ছেলে নূরুন্নবী (৫০) ও মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের শুকুর আলী শেখের ছেলে মাকেজ আলী (৩২)। এ ঘটনায় র্যাবের ডিএডি মো. সৈয়দ আলী বাদি হয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২সালের ৩৯ধারায় শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। একইসঙ্গে উদ্ধার হওয়া বন্যপ্রাণীসহ গ্রেফতারকৃতদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের একটি দল শেরপুর শহরের বারদুয়ারীপাড়াস্থ খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জুর পঞ্চমতলা ভবনের চতুর্থ তলায় অভিযান পরিচালনা করে। এসময় অবৈধভাবে পাঁচটি বন্য প্রাণী শিকার এবং হেফাজতে রাখার অপরাধে ওই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
বগুড়া র্যাব-১২ কোম্পানি কমাণ্ডার এসএম মোর্শেদ জানান, গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে শেরপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়ন পরিষদের ওই চেয়ারম্যানের পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবনে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী তক্ষক নিজেদের হেফাজতে রেখে প্রতারণার মাধ্যমে লোকজনের নিকট টাকা হাতিয়ে নেয়ার ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। বন্যপ্রাণী তক্ষক বিক্রির নাম করে তারা ক্রেতাদের আটকে রাখতো। পরে তাদের কাছে থাকা সব টাকা লুট করে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়া হতো। তাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে উক্ত পরিমাণ বন্যপ্রাণী তক্ষকসহ তাদের গ্রেফতার করে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
বগুড়ার শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের বগুড়ায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশে উদ্ধার হওয়া পাঁচটি বন্যপ্রাণী তক্ষককে রাজশাহী বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাতের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।