নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি বলেছেন, জনপ্রিয় বিরোধী নেতার অভাবেই জয়ী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
একটি বেসরকারি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সরকারি নীতির ফলে নির্বাচনী জয় হয়, এমন তত্ত্ব মানতে নারাজ তিনি। তবে মোদির জনপ্রিয়তার কৃতিত্ব যে তাকে দিতেই হবে।
আরও বলেন, মোদির জয় মানেই এটা ঠিক নয় যে, তার নেয়া সব সিদ্ধান্তই সঠিক। জনগণ মোদিকে ভোট দিয়েছে তার নেয়া নীতি ও সিদ্ধান্তের জন্য নয়। খবর এনডিটিভির।
নোবেল জয় দেশের মানুষকে গর্বিত করলেও অভিজিতের বেলায় তা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেনি বিজেপি সরকার। মোদির অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ‘মোদিনোমিক্স’র সমালোচনা ও কংগ্রেস সম্পৃক্ততার কারণে আগে থেকেই অভিজিতের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন দলটির নেতারা।
আরও দু’জনের সঙ্গে যৌথভাবে অভিজিতের নোবেল জয়ের খবরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইট করে অভিনন্দন জানালেও দলটির শীর্ষ নেতাদের অনেকেই ক্ষোভের কথা চাপা রাখেননি।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের রেল ও বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গয়াল শুক্রবারও অভিজিৎকে ‘বামপন্থী’ বলে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, ‘ভারতে তার তত্ত্ব অচল। দেশবাসী তার পরামর্শ গ্রহণ করেনি।’
তবে বিজেপি নেতাদের এসব সমালোচনা গায়ে মাখছেন না অভিজিৎ। মোদির দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা নিয়ে অর্থনীতিতে তিনি বলেন, আমার মনে হয়, যে কোনো সরকার ১০০টা জিনিস করে, আর মানুষকে তার প্রেক্ষিতেই ভোট দিতে হয়। মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে ভোট দিয়েছেন, কারণ আর কোনো জনপ্রিয় নেতা ভোটারদের কাছে ছিলেন না। মানুষের কাছে আর কোনো নেতা ভোটের যোগ্য ছিলেন না। গত লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রস্তাবিত ‘ন্যায়’ প্রকল্পের অন্যতম রূপকার ছিলেন অভিজিৎ ব্যানার্জি।
সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ন্যায় মূলত একটি ভাবধারা। ন্যায়তে শুধু স্কিম ডিজাইন আমি করেছি। দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের সমালোচনা করতেও পিছপা হননি অভিজিৎ। তিনি বলেন, দেশে বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেস অনেকটাই ক্ষীণ। তবে মূল আশঙ্কার বিষয়টা এখানেই তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন নোবেলজয়ী। অভিজিৎ বলেন, জোরাল বিরোধী শক্তি এই মুহূর্তে দেশে প্রয়োজন। না হলে গণতন্ত্রের জন্য তা ভালো হবে না।
Muchas gracias. ?Como puedo iniciar sesion?
Muchas gracias. ?Como puedo iniciar sesion?