মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৭ অপরাহ্ন




ঢাকা নর্দান সিটি কলেজে হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশ: রবিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা নর্দান সিটি কলেজে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর এবং ভবনের মালামাল লুটপাটের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন ক্ষত্রিগ্রস্থ শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। দুই যুগের বেশি সময় ধরে সাফল্যের সাথে চলমান এ কলেজটি স্বার্থান্নেসী মহলের হাত থেকে বাঁচাতে তারা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। আকস্মিক সন্ত্রাসী তান্ডবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে অচলাবন্থা তৈরী হওয়ায় এখন দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ জিডি গ্রহণ করলেও মামলা গ্রহণ করেননি। তাই আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।

রবিবার সকালে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোটার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব দাবি জানাননো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা নর্দান সিটি কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রভাষক ইসফাত জাহান। তিনি বলেন, উত্তরা ৭নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়ির ভাড়া করা ভবনে তাদের কলেজটি পরিচালিত হচ্ছে। ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত কলেজটি ২০০২ সালে এম.পি.ও. ভূক্ত হয়। গত ১০ জানুয়ারী শুক্রবার বন্ধের দিন কলেজ ভবনে হঠাৎ হামলা চালায় একটি স্বার্থান্নেসী মহলের সন্ত্রাসীরা। কলেজের নিশানা মুছে দিতে বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিল, ডায়াস, কম্পিউটার, ফ্যান, লাইট, আলমারী ও এতে রক্ষিত দু’লক্ষাধিক টাকা লুট করা হয়ে। ভাংচুর করা হয় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি। এছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের মূল নম্বরপত্র, রেজিঃ কার্ড, এডমিট কার্ড, ভর্তি রেজিষ্টার, ছাত্র-শিক্ষকদের হাজিরা খাতা, ক্যাশ বুক ও বেতন রশিদসহ দাপ্তরিক নথি ও অন্যান্য রেকর্ডসমূহ লুট করা হয়েছে। সাইন্স ও কম্পিউটার ল্যাব, প্রচারের লিফলেট ফাইল, ব্যনার, সাইনবোর্ড ইত্যাদি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। ঘটনার পরদিন ১১ জানুয়ারী কলেজ ক্যাম্পাসে মুজিব বর্ষের আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে জড়ো হওয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এ ধ্বংসযজ্ঞ দেখে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। এর প্রতিবাদে ১৩ জানুয়ারী উত্তরায় ছাত্র-শিক্ষকদের সমন্বয়ে এক মানব বন্ধনে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করা হয়, অধ্যক্ষ ফেরদৌসী নাজনীন, ভবন মালিক ও ডেভলপার কোম্পানীর ষরযন্ত্রের শিকার হতে হচ্ছে কলেজটিকে। এর আগে কলেজ পরিচালনায় অধ্যক্ষের অদক্ষতা, অব্যবস্থাপনা, নানা আর্থিক দুর্নীতি ও অনিয়ম প্রকাশিত হওয়ার ভয়ে তিনি বারবার কলেজ এবং ছাত্র ভর্তি বন্ধকরণে শিক্ষাবোর্ড বরাবর আবেদন করেন। এতে ব্যর্থ হয়ে তিনি এই অনৈতিক পথ বেছে নেন। এর আগে থেকে কলেজ কতৃপক্ষ ও ভবন মালিকের সঙ্গে ভাড়াটিয়া ও উচ্ছেদ মামলা চলমান। আদালতে ২০ জানুয়ারী ওই মামলার শুনানীর দিন ধার্য্য রয়েছে। এর আগেই আদালতের কোন নির্দেশ বা নোটিশ ও পুলিশের উপস্থিতি ছাড়াই শতাধিক ব্যক্তি সন্ত্রাসী কায়দায় কলেজটিতে হামলা চালায়।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765