গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) চার বিভাগের চেয়ারম্যানসহ সাতজন পদত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার সারাদিনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারটি বিভাগের চেয়ারম্যান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, দুইটি হলের প্রভোস্টসহ মোট সাতজন পদত্যাগ করেছেন। সবাই ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে।
পদত্যাগকারীরা হলেন- কৃষি বিভাগের চেয়্যারম্যান ড. এম. এ সাত্তার, আইন বিভাগের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুস মিয়া, ফুড অ্যান্ড এগ্রো প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নাজমুল হক শাহীন, লাইভ স্টোক বিভাগের চেয়ারম্যান মো. শফিকুজ্জামান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রহিম খান, স্বাধীনতা দিবস হলের প্রভোস্ট মুহাম্মদ রবি উল্লাহ, শেখ রাসেল হলের প্রভোস্ট রবিউল ইসলাম।
পদত্যাগকারীরা রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. নূরউদ্দিন আহমেদের কাছে নিজ নিজ পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে সেগুলো ভারপ্রাপ্ত ভিসির কাছে পাঠানো হয়।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নতুন করে ছয়জন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছে। মঙ্গলবার রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এ তথ্য জানা যায়।
সহকারী প্রক্টর পদে নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মানসুরা খানম, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. নেসারুল হক এবং প্রভাষক এস.এ.এম মেহেদী হাসান।, রসায়ন বিভাগের প্রভাষক নাসিরুদ্দিন, ইইই বিভাগের প্রভাষক চয়ন মণ্ডল ও সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো. হুমায়ূন কবীর।
ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মো. শাহজাহান সাতজনের পদত্যাগ ও নতুন ছয় সহকারী প্রক্টর নিয়োগের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীরা পদত্যাগকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রারের কাছে স্মারকলিপি দেন।
গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ব্যাপক আন্দোলনের মুখে ১৮ সেপ্টেম্বর প্রশাসন জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, স্বজনপ্রীতি ও নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ এনে ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ও ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনজন সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেন। টানা ১২ দিনের আন্দোলনের মুখে এক পর্যায়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনও পদত্যাগ করেন।