পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির অন্যতম প্রধান ধর্মীয় দলের এক নেতা। দেশটির সরকার যখন অর্থনীতি স্থিতিশীল করতে লড়ছে, এমন পরিস্থিতিতে এ ধরনের বিক্ষোভ রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
রক্ষণশীল ধর্মীয় সংগঠন জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম-ফজল (জেইউআই-এফ) দলের নেতা ফজল-উর-রেহমানের ইমরানবিরোধী এই প্রচারণায় সমর্থন জানিয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও বেনজির ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলগুলো। তবে কোনো ধরনের অসাংবিধানিক পদক্ষেপকে তারা সমর্থন করবে না বলে জানিয়েছে। ফজল-উর-রেহমান বলেছেন, ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া ইমরান খানের সরকার ‘অযোগ্য ও অবৈধ’।
গত বছর কারচুপির নির্বাচন করে সেনাবাহিনী তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে বলে দাবি করেন এই নেতা। রেহমান রাজধানীতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা ইসলামাবাদে পদযাত্রার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাদের শাসনের অধিকার নেই, অবিলম্বে তাদের পদত্যাগ দাবিই আমাদের আন্দোলনের মুখ্য উদ্দেশ্য।’
প্রবীণ রাজনীতিবিদ রেহমান জাতীয় সংসদ ও প্রাদেশিক পরিষদের বেশ কয়েকটি আসনে জোটের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে দেশ জুড়ে অসংখ্য মাদ্রাসায় সমর্থন আদায়ের দক্ষতা তার প্রভাব বিস্তারের প্রধান উৎস। সরকার বলছে, তারা বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। রাজধানীতে কারো স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে তারা।
সোমবার তথ্যমন্ত্রী ফেরদৌস আশিক আওয়ান বলেছেন, সহিংসতাবিরোধী পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা একমাত্র সরকারেরই আছে। তিনি বলেন, বিতর্কিত কাশ্মীর অঞ্চল নিয়ে পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা চলাকালে দেশকে অস্থিতিশীল করা বিরোধী দলের ঠিক হচ্ছে না।