শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:৫২ অপরাহ্ন




৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিল দাবিতে ঢাবির ভবনগুলোতে তালা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশ: রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সকালে ক্লাস করতে এসে ফিরে গেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা—নতুনবার্তা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

রোববার সকালে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, কলাভবন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদসহ বিভিন্ন ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।

বেলা সোয়া ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রেজিস্টার ভবন থেকে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ হয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এবং তার আশেপাশের সড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিন সকাল ৮টার দিকে কলাভবনের সামনে গিয়ে দেয়া যায়, অধিকাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস করতে আসলেও ৩ জন ছাত্রী ও ৩ জন ছাত্র মূল ভবনে তালা লাগিয়ে হাতে ফেস্টুন নিয়ে বসে আছে। এসময় ক্লাস করাতে আসা শিক্ষকরা ৭ কলেজ সমস্যার সমাধান আস্তে আস্তে হবে আশ্বাস দিয়ে তালা খুলে দেওয়ার আহ্বান জানালেও তারা আন্দোলন থেকে সরে আসেননি।

আন্দোলনকারীরা জানান, অধিভুক্তি বাতিলের দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত তালা খোলা হবে না। অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দেয়, যার ফলে তাদের পরিচয় সংকটে পড়তে হয়।

তারা জানান, তারা রেজিস্টার বিল্ডিং, কলাভবন, এফবিএস ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদে তালা ঝুলিয়েছেন। প্রশাসন দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তারা তালা খুলবেন না।

এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে সকালে ক্লাস করতে এসে ফিরে গেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এর আগে ৮টায় কর্মচারীরা তালা খুলতে এসেও আন্দোলনকারীদের বাঁধার সম্মুখীন হয়। ক্লাস করতে না পেরে অনেকেই কলা ভবনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন।

বিভিন্ন অনুষদ এবং প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা ‘প্রসাশন করে কী, খায় দায় ঘুমায় নাকি’, ‘নির্লজ্জ প্রশাসন, ধিক্কার, ধিক্কার’, ‘ঢাবির সম্মান, নষ্ট হতে দেব না’, ‘সাত কলেজ বাতিল চাই’, ‘রক্তে ঢাবির সম্মান, সাত কলেজ বেমানান’ ইত্যাতি স্লোগান দিতে থাকেন।

প্রো-উপাচার্যের গাড়ি আটকালো আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা: সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনসহ সকল অনুষদে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার পর কর্মক্ষেত্রে যাওয়ার সময় প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মাদ সামাদের গাড়ি আটকে দিয়েছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সকাল পৌনে ১০টার দিকে রেজিস্টার ভবনের সামনে তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রো-উপাচার্য আন্দোলনকারীদের গেট খুলে দিতে বললে শিক্ষার্থীরা অস্বীকৃতি জানায়। তখন তিনি শিক্ষার্থীদের তাদের দাবির বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানালে শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তালা খোলা হবে না বলে জানায়। এক পর্যায়ে তিনি সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য হন।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765