দ্বিতীয়বারের মতো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ এনজিও ও আইএনজিও’র মতো বেসরকারি সংস্থাগুলোর জন্যই বারবার ভেস্তে যাচ্ছে এ প্রক্রিয়া।
তবে মিয়ানমার সরকারের একগুঁয়েমি মনোভাব এবং আন্তরিকতার অভাবও এর জন্য কম দায়ী নয় বলছেন অনেকে। ২২ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত ছিল সবই। মিয়ানমার সরকারের ছাড়পত্র পাওয়া ১ হাজার ৩৭ পরিবারের ৩ হাজার ৫৪০ জনের মধ্যে ৩ দিনে সাড়ে তিনশ পরিবারের সাক্ষাৎপর্বও সম্পন্ন করা হয়। রোহিঙ্গাদের বহনের জন্য পাঁচটি বাস আর মালামাল পরিবহনের জন্য ৩টি ট্রাক আগে থেকে টেকনাফের শালবাগান ২৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রস্তুত রাখা হয়। সেখান থেকে বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ট্রানজিট ঘাট পর্যন্ত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছিল। এতসব আয়োজনের পরও ভেস্তে যায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া। বার বার একই ঘটনা ঘটায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বড় বাধা কিছু এনজিও আইএনজিও বলেছেন স্থানীয় এ মুক্তিযোদ্ধা। অনেকে বলছেন পরিবেশ নিশ্চিত না করে প্রত্যাবাসনের ঘোষণা মিয়ানমারের আইওয়াশ ছাড়া কিছুই নয়।
বাংলাদেশ মিয়ানমার ছাড়াও চীনসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী দেশ জাতিসংঘ এবং রোহিঙ্গাদের সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠনের মাধ্যমে প্রত্যাবাসন হতে পারে বলেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রফেসর সাহাব এনাম খাঁন। গেল বছরের ১৫ নভেম্বরও একইভাবে প্রত্যাবাসনের দিন-তারিখ ঠিক করা হয়েছিল। তবে রোহিঙ্গাদের নানা শর্তে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সেবারও ভেস্তে যায়।