বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:২২ অপরাহ্ন




ভাগ্নিকে ধর্ষণে বাধা দেওয়ায় মামাকে হত্যা, গণপিটুনিতে যুবক নিহত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণে বাধা দেয়ায় ছুরিকাঘাতে হাসান আলী (২৬) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে অভিযুক্ত আকবর আলীও নিহত হন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন স্কুলছাত্রীসহ দুইজন। শনিবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আমিরপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত হাসান আলী আমিরপুর গ্রামের হামিদুল ইসলামের ছেলে। গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় সবজির ব্যবসা করতেন বলে জানিয়েছে গ্রামবাসী।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভোরে আমিরপুর গ্রামের পঙ্গু হামিদুল ইসলামের বাড়িতে প্রবেশ করেন আকবর আলী। এরপর হামিদুল ইসলামের স্কুলপড়ুয়া নাতনীর ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। এ সময় কিশোরীর চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা বাধা দিতে গেলে আকবর আলীর ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন গৃহকর্তার ছেলে হাসান আলী (২৬)। গুরুতর আহত হয় ওই স্কুলছাত্রীসহ তার পঙ্গু নানা হামিদুল ইসলাম। এদিকে গ্রামবাসী টের পেয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলে হামলাকারী আকবর আলীকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কানাই লাল সরকার, মো কলিমুল্লাহসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা গুরুতর আহত গৃহকর্তা হামিদুল ইসলাম ও ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সকাল ৮টার দিকে নিহত হাসান ও গণপিটুনিতে নিহত আকবর আলীর লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আবু এহসান মো ওয়াহেদ রাজু জানান, উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতের কারণে হামিদুল ইসলামের শরীরে অসংখ্যা ক্ষত হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী রেফার্ড করা হয়েছে। আহত স্কুলছাত্রীকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় মোমিনপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ান্দ্ার বলেন, ধর্ষণচেষ্টাকারী আকবর আলী বেশ কিছুদিন ধরে ওই গ্রামে ভাড়া থাকেন। ভ্যানে করে গ্রামে সবজি বিক্রির ব্যবসা করলেও তার স্বভাব চরিত্র খারাপ ছিল। এর আগেও সে গ্রামের এক নারীকে ধর্ষণের সময় হাতেনাতে আটক হয়েছিল।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765