শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন




বাগেরহাটে সামাজিক বনায়নে দুই হাজার পরিবারে এসেছে সচ্ছলতা

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

জামিলা বেগম। বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার মোল্লারকুল গ্রামের মৃত: নজরুল ইসলামের স্ত্রী তিনি। সামাজিক বনায়ন কর্মসূচীর উপকারভোগী সদস্য হিসেবে এবছর গাছ বিক্রির টাকা থেকে তিনি পেয়েছেন ১৮ হাজার ১শ ১৪ টাকা। এই টাকা পেয়ে তার আর্থসামাজিক পরিবর্তন ঘটেছে।
চিতলমারী উপজেলার রায়গ্রামের বিনোদ বিহারী মালোঙ্গী পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮শ ৪৩ টাকা। ফকিরহাট উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত শামছুর রহমানের ছেলে শেখ আতাহার আলী উপকারভোগী সদস্য হিসেবে পেয়েছেন ১২ হাজার ১শ ৬১ টাকা।
সামাজিক বনবিভাগের এই কর্মসূচীর অধিনে সমিতি গড়ে তুলে বনায়ন রক্ষণাবেক্ষণ করে বাগেরহাটে তাদের মতো আরো ২ হাজার ২৪ জন অংশীদার গাছ বিক্রির লভ্যাংশের টাকা পেয়ে আজ স্বাবলম্বি। এমনটাই জানালেন উপকারভোগী সদস্যরা।
বাগেরহাট সামাজিক বনবিভাগ সুত্রে জানাগেছে, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে জেলার পাচঁটি উপজেলায় অনেক অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের আর্থ সামাজিক পরিবর্তন ঘটেছে। বনায়নের মধ্যদিয়ে এলাকার নারী ও পুরুষ নিজেদের ভাগ্য বদলাতে সক্ষম হয়েছেন। সরকারী সম্পত্তির উপর রোপনকৃত এসব গাছ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ করে নির্ধারিত সময়ে বনায়নের গাছ বিক্রির লাখ লাখ টাকা হাতে পেয়েছেন উপকারভোগীরা। লভ্যাংশের নগদ টাকা পেয়ে সুখের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন ২০২৪ জন উপকারভোগী নারী পুরুষ। তাদের এ সাফল্য দেখে এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নে নতুন ভাবে এগিয়ে এসেছেন অনেক বেকার যুবক।
বাগেরহাটে এইসব সামাজিক বনায়ন করা হয় ১৯৯৮-৯৯ এবং ২০০০-০১ সালে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বন বিভাগের সাথে সরকারী ভাবে নির্ধারিত অংশীদারিত্ব মুলক দলিল চুক্তির মাধ্যমে বনায়ন তৈরী করে। দেশীয় জাতের স্বল্প মেয়াদি চারারোপন করা হয় এসব বনায়নে। এরমধ্যে কয়েক দফা বাগান কেটে সেখানে পুনরায় গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন বাগান। আর উপকারভোগীদের হাতে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে তাদের সাথে চুক্তিকৃত পাওনা।
বাগেরহাট সামজিক বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো: সাইদুল ইসলাম জানান, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাগেরহাট জেলায় উপকারভোগীদের মাঝে এক কোটি ৩ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রায় ২৮ লাখ টাকা, বাগেরহাট পৌরসভাকে ৯১ হাজার টাকা, মোল্লাহাটের উদয়পুর ও আটজুড়ি ইউনিয়ন পরিষদকে ৫০ হাজার টাকা, খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দেয়া হয়েছে। আর বাগেরহাট সদর, শরণখোলা, চিতলমারী মোল্লাহাট ও ফকিরহাট উপজেলার ২০২৪ হাজার উপকারভোগীদের মাঝে ৭০ লক্ষাধিক টাকা বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিবছর বাগেরহাটের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে সামাজিক বনায়ন গড়ে তোলা হচ্ছে।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765