বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪, ০১:২৯ অপরাহ্ন




ধর্মঘটের মধ্যে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলা শুরু

বরিশাল প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৯

১১ দফা দাবিতে সারাদেশে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘট অব্যাহত থাকলেও যাত্রীবাহী নৌযানকে এ কর্মসূচির আওতামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্দোলন কর্মসূচি আহ্বানকারী নৌযান শ্রমিকদের ৬টি সংগঠনের জোট নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম।

তিনি জানান, যাত্রী দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী নৌযান ধর্মঘটের আওতামুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেলা ৩টার দিকে তারা এ সিদ্ধান্ত নেন।

সংগঠনের বরিশাল বিভাগী সভাপতি শেখ আবুল হোসেন মাষ্টা জানান, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সারাদেশে বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল শুরু হয়। যাত্রীবাহী নৌযান ছাড়া পণ্য ও জ্বালানীবাহী সহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

এর আগে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহীসহ সকল নৌযান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয় মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে। এতে বরিশাল নৌবন্দরসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে অভ্যন্তরীণ রুটের সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে উপকূলের যাত্রীদের সীমাহীন দূর্ভোগে পড়তে হয়।

লঞ্চ লেবার অ্যাসোশিয়েসনের বরিশাল জেলা সভাপতি শেখ আবুল হাশেম মাষ্টার জানান, তারা বুধবার সকাল থেকে পুরো দক্ষিণাঞ্চলে যাত্রীবাহীসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেন। বিকেল ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় সভাপতি তাকে জানিয়েছেন, যাত্রীবাহী নৌযান ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবে।

তিনি জানান, ধর্মঘটের কারণে দিনে অভ্যন্তরীণ লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও কেন্দ্রের নির্দেশ পাওয়ার পর যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম মঙ্গলবার রাতে জানান, ১১ দফা আদায়ে গত ১৫ এপ্রিল ধর্মঘট শুরু হয়েছিল। ধর্মঘটের প্রথম দিন শ্রমিক অধিদপ্তর, মালিক ও শ্রমিক পক্ষ ত্রিপাক্ষীয় বৈঠক করে দাবিগুলো বাস্তবায়নে ৪৫ দিনের সময় নেয় নৌযান মালিকপক্ষ। তাদের আশ্বাসে ওইদিন ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। কিন্ত এ পর্যন্ত একটি দাবিও বাস্তবায়ন করেননি মালিকরা।

তিনি জানান, এজন্য গত ২০ জুলাই সভা করে ২৩ জুলাই রাত ১২টা থেকে সারাদেশে অবিরাম শ্রমিক ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত হয়।

শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- বেতনভাতা বৃদ্ধি করে যুগোপযোগী করা, সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, নৌযান শ্রমিকদের হামলার বিচার, নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ, মেরিন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন এবং মৃত নৌযান শ্রমিকদের ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765