সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন




খুলনায় গণধর্ষণের ঘটনায় জিআরপি থানার ওসি-এসআই প্রত্যাহার

খুলনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশ: বুধবার, ৭ আগস্ট, ২০১৯
গণধর্ষনে অভিযুক্ত খুলনা জিআরপি থানার ওসি ওসমান গনি

খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানায় তিন সন্তানের জননীকে (৩৫) ৫ পুলিশ সদস্য মিলে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ওসি উসমান গনি পাঠান ও এসআই নাজমুল হককে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। বুধবার সকালে তাদের প্রত্যাহার করা হয়।

গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া সার্কেলের এএসপি ফিরোজ আহমেদ বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গণধর্ষণের ঘটনা তদন্তে তদন্ত ফিরোজ আহমেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি দুই সদস্যরা হলেন কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের ডিআইও-১ পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) শ.ম. কামাল হোসেইন ও দর্শনা রেলওয়ে ইমিগ্রেশন ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. বাহারুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, ২ আগস্ট ঘটনার রাতে খুলনা রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসমান গনি পাঠান, এসআই গৌতম কুমার পাল, এসআই নাজমুল হাসান, কনস্টেবল মিজান, হারুন, মফিজ, আব্দুল কুদ্দুস, আলাউদ্দিন, কাজলসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে ওসি ওসমান গনি পাঠান ও এসআই গৌতমসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও মারপিটের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।

জানা যায়, গত ২ আগস্ট (শুক্রবার) ওই নারী (২১) যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসেন। এ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা তাকে সন্দেহমূলকভাবে ধরে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে জিআরপি পুলিশের ওসি ওসমান গনি পাঠান তাকে ধর্ষণ করেন। এরপর আরও ৪ জন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।

পরদিন শনিবার ওই নারীকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার দেখিয়ে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। কিন্তু আদালতে বিচারকের সামনে নেয়ার পর ওই নারী জিআরপি থানায় তাকে গণধর্ষণের কথা বলে দেন। এরপর আদালতের বিচারক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765