শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন




কারগিল যুদ্ধে ভারতের হয়ে অংশ নেয়া সেনা কর্মকর্তাও এনআরসি থেকে বাদ

নতুনবার্তা ডেস্ক
  • প্রকাশ: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৯

প্রকাশ করা হয়েছে ভারতীয় আসাম রাজ্য নাগরিক নিবন্ধনের চূড়ান্ত তালিকা। খসড়া প্রকাশের প্রায় দেড় বছর পর শনিবার সকাল ১০টায় এই চূড়ান্ত তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। সর্বমোট তিন কোটি ৩০ লাখ আবেদনকারীর মধ্যে তিন কোটি ১১ লাখ লোককে চূড়ান্ত তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ১৯ লাখ। এমনকি চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন কারগিল যুদ্ধে অংশ নেওয়া সাবেক ভারতীয় সেনা কর্মকর্তা। হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, আসাম রাজ্যের নাগরিক নিবন্ধনের চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়া সাবেক ভারতীয় ওই সেনা কর্মকর্তার নাম মোহাম্মদ সানাউল্লাহ। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে জুনিয়র কমিশনড অফিসার (জেসিও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অংশ নিয়েছেন কারগিল যুদ্ধে। যুদ্ধক্ষেত্রে অবদানের জন্য রাষ্ট্রপতি পদকেও ভূষিত হয়েছেন তিনি। এনআরসির চূড়ান্ত তালিকায় মোহাম্মদ সানাউল্লাহর তিন সন্তান, দুই মেয়ে ও এক ছেলের নাম না থাকলেও রয়েছে স্ত্রীর নাম।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, সানাউল্লাহ ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের রায় গুয়াহাটি হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। তাই এনআরসির ধারা অনুযায়ী চূড়ান্ত নাগরিক তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভুক্তি করা হয়নি।

এর আগে, ২০০৮ সালে সন্দেহজনক ভোটার হিসেবে সানাউল্লাহর নাম তালিকাভুক্ত হয়। এমনকি আসামের এক সরকারি কর্মকর্তা তাকে বিদেশি আখ্যায়িত করে একটি প্রতিবেদনও তৈরি করেন। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে মামলা হলে একই বছরে ২৩ মে বিদেশি ঘোষণা করে গোয়ালপাড়ার একটি বন্দিশিবিরে পাঠায় ট্রাইব্যুনাল। পরে গুয়াহাটি হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিন পান।

উল্লেখ্য, ভারতের আসামে নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার পর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়। চূড়ান্ত তালিকায় ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম বাদ পড়েছেন। তবে তারা আপিল করতে পারবেন।

আসামে প্রথম নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫১ সালে। ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে শুরু হয় প্রক্রিয়া। এতে ৫২ হাজার কর্মীকে কাজে লাগানো হয়। বাজেট বরাদ্দ হয় ১ হাজার ২২০ কোটি রুপি। তার পর থেকে সংশোধন হতে হতে শেষ পর্যন্ত ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হলো। খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। সেই তালিকায় তিন কোটি ৩০ লাখ মানুষের মধ্যে বাদ পড়েছিলেন ৪০ লাখ ৭ হাজার ৭০৭ জন। পরে অতিরিক্ত খসড়ায় বাদ পড়েন আরও ১ লাখ মানুষ। বাদ পড়াদের মধ্যে অধিকাংশই বাঙালি। পরে তালিকায় নাম সংযোজনের আবেদন করেন ৩১ লাখ।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765