শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন




১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত দুধ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশ: রবিবার, ২৮ জুলাই, ২০১৯

মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর উপাদান থাকায় বিএসটিআইয়ের অনুমোদিত ১৪ কোম্পানির পাস্তুরিত (প্যাকেটজাত) দুধ উৎপাদন, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয় ও খাওয়া আগামী ৫ সপ্তাহের বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। ফলে এই ১৪ কোম্পানির আপাতত পাস্তুরিত দুধ বিক্রির কোনো সুযোগ থাকল না।

এই ১৪ কোম্পানি হচ্ছে-আফতাব মিল্ক এন্ড মিল্ক প্রোডাক্ট লিমিটেডের ‘আফতাব’, আকিজ ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের ‘ফার্মফ্রেশ মিল্ক’, আমেরিকান ডেইরি লিমিটেডের ‘মো’, বাংলাদেশ মিল্ক প্রডিউসারস কো অপারেটিভ ইউনিয়ন লিমিটেড এর ‘মিল্ক ভিটা’, বারো আউলিয়া ডেইরি মিল্ক এন্ড ফুডস লিমিটেডের ‘ডেইরি ফ্রেশ’, ব্র্যাক ডেইরি এন্ড ফুড প্রজেক্ট ‘আড়ং ডেইরি’, ড্যানিশ ডেইরি ফার্ম লিমিটেডের ‘আয়রান’, ইছামতি ডেইরি এন্ড ফুড প্রোডাক্ট এর ‘পিউরা’, ইগলু ডেইরি লিমিটেডের ‘ঈগলু’, প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের ‘প্রাণমিল্ক’, উত্তরবঙ্গ ডেইরির ‘মিল্ক ফ্রেশ’, শিলাইদহ ডেইরির ‘আল্ট্রা, পূর্ব বাংলা ডেইরি ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের ‘আরওয়া’ এবং তানিয়া ডেইরি এন্ড ফুড প্রোডাক্টস ‘সেইফ’।

বিএসটিআই অনুমোদিত ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধে সিসা, অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান আছে কি-না সে বিষয়ে দাখিল করা চারটি ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনের ওপর পর্যালোচনা শেষে আদালত এ আদেশ দেন। বাজারে থাকা ওইসব দুধ ক্রয়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন আদালত। এ বিষয়ে আগামী ২৫ আগষ্ট পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন আদালত।

রোববার আদালতে বিএসটিআই’র পক্ষে ব্যারিস্টার সরকার এম আর হাসান, রিট আবেদনকারীর পক্ষে ব্যারিস্টার অনীক আর হক, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম শুনানি করেন।

এরআগে গত ১৪ জুলাই এক আদেশে বিএসটিআই অনুমোদিত সব ব্র্যান্ডের পাস্তুরিত দুধে অ্যান্টিবায়োটিক ও ডিটারজেন্টসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান আছে কিনা, তা এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা করতে চারটি ল্যাবকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। চারটি ল্যাব হলো- ন্যাশনাল ফুড সেফটি ল্যাবরেটরি, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিজ রিসার্চ, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি) ও সাভারের প্রাণী সম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট। এরপর ২৩ জুলাই তিন সংস্থার প্রতিবেদন পেয়ে আদালতে দাখিল করে বিএসটিআই। একই সঙ্গে ঢাবি অধ্যাপক আ ব ম ফারুকের প্রতিবেদনসহ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের প্রনয়ন করা ১১ কোম্পানির দুধ পরীক্ষার প্রতিবেদনও আদালতে দাখিল করা হয়।

গত বছরের ১৬ মে বাণিজ্যিকভাবে পাস্তুরিত দুধ সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ডায়রিয়াল ডিজিস রিসার্চ, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) একটি গবেষণা প্রতিবেদন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে থাকা ৭৫ শতাংশ পাস্তুরিত দুধই অনিরাপদ, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি। প্রকাশিত ওইসব প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার মো. তানভীর আহমেদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ২১ মে এক আদেশে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকদের নিয়ে কমিটি গঠন করে বাজারে থাকা পাস্তুরিত দুধ পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দিতে খাদ্য ও স্বাস্থ্যসচিব এবং বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ আদেশের পর গত ২৫ জুন বিএসটিআইয়ের আইনজীবী আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।

image_pdfimage_print




সংবাদটি ভাল লাগলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published.

এই বিভাগের আরো সংবাদ










© All rights reserved © 2019 notunbarta24.com
Developed by notunbarta24.Com
themebazarnotunbar8765