1

কাশ্মীর যাচ্ছেন রাহুল, প্রশাসনের আপত্তি

কাশ্মীর যাচ্ছেন সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। তবে শনিবারের এই সফর নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, বিরোধী নেতাদের কাশ্মীর সফরের সিদ্ধান্তের খবর মিলতেই তৎপর হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

তথ্য ও জনসংযোগ দপ্তরের তরফে টুইট বার্তায় বলা হয়েছে, সীমান্তে সন্ত্রাস ও জঙ্গিদের হাত থেকে যখন জম্মু-কাশ্মীরবাসীকে রক্ষা করার চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার, সেই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক নেতাদের আর বিড়ম্বনা না বাড়ানোই উচিত।

আরও বলা হয়, রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আরজি, দয়া করে সহযোগিতা করুন। শ্রীনগরে আসবেন না। তাদের বোঝা উচিত, এই মুহূর্তে প্রধান দায়িত্ব হলো শান্তি বজায় রাখা।

রাহুলের সফরসঙ্গী হচ্ছেন কংগ্রেসের আনন্দ শর্মা, কে সি বেণুগোপাল, সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআই নেতা ডি রাজা, ডিএমকে-র তিরুচি শিবা, এলজেডির শরদ যাদব, তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী, এনসিপির মাজিদ মেমন, আরজেডির মনোজ ঝা, জেডিএসের ডি কে রেড্ডি।

শুক্রবার সংসদে রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গোলাম নবী আজাদের সঙ্গে বৈঠকে কাশ্মীর সফরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কিছুদিন আগেই কাশ্মীর যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল। টুইটারে তাকে আমন্ত্রণও জানিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল।

৩৭০ ধারা বাতিলের বিরোধিতা জানিয়ে আসছে কংগ্রেসসহ কয়েকটি বিরোধী দল। এই ধারা বিলোপের পর কাশ্মীর রওনা দিয়েছিলেন সে রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা গোলাম নবী আজাদ। কিন্তু দু’বার তাকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। সীতারাম ইয়েচুরি ও ডি রাজাও শ্রীনগর রওনা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাদেরও বিমানবন্দর থেকে ফেরানো হয়। এ ছাড়া একপ্রকার বন্দী অবস্থায় রয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতি।