1

শরণখোলায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে একটি পরিবারকে হয়রানীর অভিযোগ

বাগেরহাটের শরণখোলায় ধান সাগর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বর তালুকদার হুমায়ুন কবির সুমনের বিরুদ্ধে ওই এলাকার একটি পরিবারকে নানা ভাবে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। ওই পরিবারটির একজন সদস্য আগামী নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করবেন এমন ঘোষনার পর অপপ্রচার, মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্ন ভাবে এই হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারটির।

এলাকাবাসি জানান, রাজাপুর গ্রামের আঃ সামাদ হাওলাদারের সাথে কিছু জমি নিয়ে তার শরিকদের সাথে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় ভাবে শালিশ বৈঠকে মিমাংসা করতে ব্যর্থ হলে প্রতিপক্ষরা আদালতে যায়। আদালত সোমেদ হাওলাদারের পক্ষেই রায় প্রদান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিপক্ষরা তাদের নানা ভাবে হয়রানী শুরু করে। আর স্থানীয় রাজনীতি ও আ: সামাদ হাওলাদারের ছেলে মনির হোসেন ওই ওয়ার্ড থেকে আগামী নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করবেন এমন খবরে বর্তমান ইউপি সদস্য তালুকদার হুমায়ুন কবির সুমন তার লোকজন নিয়ে প্রতিপক্ষকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।

শুক্রবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শরণখোলার কয়েকজন সাংবাদিকের কাছে সাক্ষাতকার দেয়ার জন্য এই করোনার ভিতরও অনেক লোককে এক স্থানে জড়ো করে রাখা হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছেন মেম্বর তালুকদার হুমায়ুন কবির সুমন। স্থানীয়দের দাবী, প্রভাবশালী ইউপি সদস্য সুমনের বিরুদ্ধে কথা বলার কেই নেই। নিজে ইউপি সদস্য এবং দুলাভাই ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন সরকারী সাহায্য দিয়ে তিনি একটি বাহিনী গড়ে তুলেছেন। যদিও ইউপি সদস্য সুমন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ভুক্তভোগী নেহারুন হাওলাদার ও মিলন হাওলামার জানান, ইউপি সদস্য সুমন নানা রকম অপকর্মের সাথে যুক্ত। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সাহস কারো নেই। তাদের ভাই মোঃ মনির হোসেন আগামী নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করবেন এমন খবরে সুমন তাদের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। নানা রকম মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে অপপ্রচারসহ অনেক ধরনের ষড়যন্ত্র করছে। গত কয়েকদিন আগে তাদের অত্যাচারে কয়েকটি পরিবার বাড়ি ছাড়া বলেও অপপ্রচার করেছে। আসলে তাদের একজন প্রবাসীর স্ত্রী। তিনি তার বোনের বাড়িতে থেকে সন্তানকে লেখাপড়া করান। অন্য একজন ভারতে থাকতেন। করোনার কারনে দেখে এসে আবার কোথায় বেড়াতে গিয়েছেন।

ইউনুচ হাওলাদার নামে একব্যক্তি এলাকা ছেড়ে পালিয়ে রয়েছে প্রচার করা হয়। কিন্তু ইউনুচ হাওলাদারের ভাই বারেক হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, তার ভাই কারো ভয়ে এলাকা ছাড়া হয়নি। সে ভারতে থাকতো। করোনার কারনে দেশে আসে। পরে আবার তাদের বেয়াইবাড়ি পাথরঘাটার তালতলিতে বেড়াতে গেছে। কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচার করা উচিৎ নয় বলেন এই বৃদ্ধ।