1

মোরেলগঞ্জে স্টিমারের কেবিনে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা, নদীতে ঝাঁপ দিয়েও রক্ষা হয়নি স্বামীর

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে এমভি বাঙ্গালী নামক স্টিমারের কেবিনে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে ডালিম হাওলাদার (৩২) নামের এক গার্মেন্ট কর্মী। কিন্তু স্ত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলে নিজেকে বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপ দিয়েও রক্ষা হয়নি তার। স্থানীয়রা জেলেদের সহযোগীতায় ডালিমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আহত অবস্থায় সাবিনা বেগমকে(২১) উদ্ধার করা মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আটক স্বামী ডালিম মোরেলগঞ্জ উপজেলার কালিকাবাড়ি গ্রামের বাদশা হাওলাদারের ছেলে। এ ঘটনায় মোরেলগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ভুক্তভোগীর বরাত দিয়ে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, গাজীপুরে একই গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে চাকুরীর সুবাদে ডালিমের সাথে পরিচয় হয় শেরপুর উপজেলার দড়িখাগা গ্রামের আব্দুস ছত্তার শেখের মেয়ে সাবিনার সাথে। প্রেমজ সম্পর্কের এক পর্যায়ে ডালিম নিজের স্ত্রী ও সন্তানদের কথা গোপন রেখে বিয়ে করেন সাবিনাকে। গাজীপুরে এক বছর সংসার করে তারা। স্ত্রী সাবিনা স্বামীর গ্রামের বাড়িতে ঈদ করার দাবী জানায়। শনিবার বিকেলে তাকে নিয়ে স্টিমারযোগে রওয়ানা হন মোরেলগঞ্জ বাড়ির উদ্দেশে।

রবিবার দুপুরে মোরেলগঞ্জ স্টেশনে পৌছানোর প্রায় আধাঘন্টা পূর্বে সন্ন্যাসী এলাকায় স্টিমারটি থাকাকালে কেবিনের মধ্যে বসেই সাবিনার গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন ডালিম। এ সময় সাবিনা চিৎকার দিলে অন্য যাত্রীরা কেবিনের সামনে জড়ো হয়ে দরজা ধাক্কাতে শুরু করেন। এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে দরজা খুলে দৌড়ে স্টিমারের ছাদে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ডালিম। কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। জেলেদের সহযোগীতায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।

সাবিনা বেগম জানান, ‘ডালিম আমার সাথে প্রতারণা করেছে। এক পর্যায়ে হত্যা করতে চেয়েছে। আমি আর ওর সাথে সংসার করতে চাইনা। সে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশেই বাঙ্গালীর স্টিমারে কেবিন রিজার্ভ করেছিল তা আমি বুঝতে পারিনি। আমি তার দৃষ্টন্তমূলক বিচার চাই’।
মোরেলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) ঠাকুর দাশ মন্ডল মঙ্গলবার রাতে এই প্রতিবেদকককে বলেন, সাবিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে এমন অভিযোগে মামলা হয়েছে। ডালিমকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। সাবিনাকে তার অভিভাবকদের কাছে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।