1

মোংলা ইকোনমিক জোনে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলা সমুদ্র বন্দরের কাছে ২০৫ একর জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে মোংলা ইকোনমিক জোন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সঙ্গে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে (পিপিপি) সিকদার গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেড এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটির উন্নয়ন করেছে। দেশে পিপিপিথতে এটিই প্রথম উদ্যোগ। ইতোমধ্যে সড়ক, সেতু, পানি সরবরাহ, বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্র, প্রশাসনিক ভবন ইত্যাদি নির্মিত হয়েছে। এখানে বিদ্যুৎ কেন্দ্র, আধুনিক সুবিধা সম্বলিত অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র ও বর্জ্য শোধনাগার, পার্শ^বর্তী নদীতে ২টি জেটি, ট্যাঙ্ক টার্মিনাল, শিল্প স্থাপনের সব ধরনের ইউটিলিটি ও সুযোগ-সুবিধা থাকবে।

সিকদার গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, দেশে যখন অপরিকল্পিতভাবে শিল্প-কারখানাগুলো গড়ে উঠছিল তখন সেটা বন্ধের জন্য খুব চেষ্টা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সারাদেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেটাই এখন বাস্তবায়িত হচ্ছে। ফলে অনেক বিদেশি বিয়োগকারী এ দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। পদ্মা সেতু চালুর পর দেশি-বিদেশি শিল্পোদ্যক্তা ও ব্যবসায়ীদের কাছে মোংলা ইকোনমিক জোন এবং মোংলা সমুদ্র বন্দরের গুরুত্ব বাড়বে বহুগুনে।
জানতে চাইলে পাওয়ার প্যাক ইকোনমিক জোন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রন হক সিকদার বলেন, মোংলা ইকোনমিক জোন সরকারের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আগামী দিনে মোংলা বন্দর ও মোংলা ইকোনমিক জোন আমদানি-রপ্তানিকারকদের জন্যে অত্যন্ত লাভজনক ও আকর্ষণীয় হবে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন মোংলার ৪৪ শতাংশ প্লট বিভিন্ন প্ৰতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অবশিষ্ট প্লটগুলো আকর্ষণীয় সুবিধাসহ শিল্প স্থাপনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। তাছাড়া এখানে ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে বলেও জানান তিনি।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. মোজাম্মেল হক বলেন, মোংলা বন্দরের পাশে ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় বন্দরের গুরুত্ব বেড়েছে। এ ইকোনমিক জোন আমদানি রপ্তানিকারকদের কাছে আরো লাভজনক ও আকর্ষনীয় হবে। তিনি আরো বলেন,বন্দর কেন্দ্রীক সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে মোংলা ইকোনমিক জোন দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী আমদানি- রপ্তানিকারকরা জানান, মোংলা বন্দরের পাশেই অবস্থিত ইকোনমিক জোনের ইন্ড্রাসট্রিয়াল প্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী সহজেই এ বন্দর দিয়ে রপ্তানি করা যাবে। এতে বন্দরের কর্মচাঞ্চলতা কয়েকগুন বাড়বে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তবে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা সমাধানে বন্দর কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্ট কাস্টমস বিভাগকে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নিতে হবে অন্যথায় ইকোনমিক জোনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে এ বন্দর।