1

মামলার বাদীকে মারপিট করে পুলিশে সোপর্দ, পরে মুক্তি

 

খুলনার কয়রায় মামলা তুলে নিতে মামলার বাদিকে বেধড়ক মারপিট করে পুলিশে সোপর্দ করার এক রাত পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। মামলার বাদী আহত মাছুদুল সরদার (৩৫) বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

শনিবার রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার ৫ নং কয়রা গ্রামে পৌছালে আসামী পক্ষের লোকজন তাকে মারপিট করে পুলিশে দেয়। পরে ঘটনা জানতে পেরে পরদিন সকালে তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

সোমবার মারপিটের শিকার মাছুদুলের পরিবার জানায়, শনিবার রাতে মামলার বাদী মাছুদুল তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে দেখা করে কয়রা থানা থেকে বাড়ী ফেরার পথে ৫ নম্বর কয়রা গাজীবাড়ীর মোড়ে পৌছালে মামলার আসামী আক্তারুল, সাগর ও সাত্তার গাইনের নেতৃত্বে কয়েকজন তাকে বেধড়ক মারপটি করে একটি ঘরে আটক রাখে। তারা মামলা তুলে নিতে তাকে হুমকি দেয়। পরেেআহত অবস্থায় তাকে কাশিয়াবাদ পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করা হয়। ঘটনাটি জানাজানি হলে পরের দিন সকালে পুলিশ ফাঁড়ি থেকে মুক্ত হয়ে আহত মাছুদুল প্রথমে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয় পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আহত মাছুদুল সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কাশিয়াবাদ পুলিশফাড়ির ইনচার্জ এসআই টিপু সুলতান বলেন, ওই রাতে কয়েকজন যুবক গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে মাসুদুলকে ফাঁড়িতে পাঠায়। সকালে ঘটনা জানতে পেরে আমি তার অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করি।

মাছুদুলের দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কয়রা থানার এসআই আবু সায়েম বলেন, ঘটনার রাতে কাশিয়াবাদ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছিলেন মামলার বাদীকে কে বা কারা মারপিট করে পুলিশ ফাঁড়িতে সোপর্দ করেছে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত: পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কয়েকদিন আগে ৫ নম্বর কয়রা গ্রামের শাহাজান গাজীর নেতৃত্বে ভুক্তভোগি মাছুদুলের ছেলে শহিদুলকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়। এ ব্যাপারে শহিদুলের পিতা মাছুদুল বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে ১৫ অক্টোবর কয়রা সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কয়রা থানাকে এফআইআর হিসাবে গ্রহনের নির্দেশ দেন। মামলাটি এফআইআর হিসেবে নেওয়ার পর কয়রা থানা পুলিশ ওই মামলার দুইজন আসামীকে আটক করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলার বাদীকে মারপিট করা হয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।