1

বাগেরহাটে শিশু খালিদের দাফন সম্পন্ন: ১০ বাড়ি ভাংচুর, ৩ আসামীর রিমান্ড আবেদন

বাগেরহাটের চিতলমারীতে অপহরণের পর নিহত শিশু খালিদ তালুকদারের (৬) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুর ৩ টায় চৌদ্দহাজারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। শিশু খালিদের নিহতর ঘটনায় বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনসহ বিভিন্ন মহল শোক জানিয়েছেন। অপরদিকে, উত্তেজিত জনতা আসামী পক্ষের ১০টি বসত-বাড়ি ভাংচুর করেছে। খালিদ তালুকদার (০৬) হত্যায় গ্রেফতারকৃত তিন আসামী মো: বাদশা মিয়া (৬০), কামরুল (৩৫) ও গৃহবধূ মেরিনাকে (২৭) চিতলমারী থানা পুলিশ আদালতে প্রেরণ করেছেন। সেই সাথে ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করেছেন। নিহত খালিদ তালুকদার চিতলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ চৌদ্দহাজারী গ্রামের মো. কাওছার আলী তালুকদারের ছোট ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চিতলমারী থানার এসআই দেবব্রত সরকার জানান, খালিদ হত্যায় ১৯ জনকে এজাহার ভুক্ত ও ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে খালিদের পিতা কাওসার আলী তালুকদার বাদী হয়ে ১৬ জুন একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করার পর সাত দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছে। বিষয়টি শুনানীর জন্য রয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের চৌদ্দহাজারী ঈদগাঁ মাঠে কয়েকজন শিশুর সাথে খেলা করছিল খালিদ তালুকদার। সেখান থেকে সে নিখোজ হয়। পরে অনেক খোজাখুজি করে না পেয়ে রবিবার (১৬ জুন) খালিদের পিতা কাওছার তালুকদার বাদি হয়ে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামী করে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। সোমবার (১৭ জুন) বিকেলে উপজেলার চৌদ্দহাজারী গ্রামের সবুর তালুকদারের মৎস্য ঘের থেকে ভাসমান অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) অনুকুল সরকার জানান, অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। অন্য আসামীদের আটকের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।