1

বাগেরহাটের চিতলমারী-ফলতিতা সড়কের বেহাল দশা : দূর্ভোগে ২০ গ্রামের মানুষ

বাগেরহাটের চিতলমারী-ফলতিতা সড়কটি ৪-৫ বছর ধরে মেরামতের অভাবে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন সংস্কার কাজ না করায় এখন চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে জন গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি। এ অবস্থায় প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে বাগেরহাট সদর, মোল্লাহাট, ফকিরহাট ও চিতলমারী উপজেলাসহ প্রায় ২০ গ্রামের বাসিন্দাদের।
স্থানীয়রা বলছেন, সড়কের বেহাল দশায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন পথচারিরা। দীর্ঘ ২৩ কিলোমিটার দৈর্ঘের এ সড়কের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। মালামাল আনা-নেওয়াসহ যানবাহন চলাচলেও সমস্যার অন্ত নেই। তাছাড়া এ সড়কটি ব্যবহার করেই রোগীদের চিতলমারী উপজেলা ¯^াস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়া-আসা করতে হয়। ফলে প্রতিনিয়ত রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
চিতলমারী-ফলতিতা রুটের মাহেন্দ্র চালক ইলিয়াস সর্দার, নাজমুল শেখ, কার্তিক দাস, ইজিবাইক চালক ধিরাজ মজুমদার, দিপক মালাকার, ভ্যান চালক মহেন তাফালী কিশোর মণ্ডল, লিটন বিশ্বাসসহ অনেকে আক্ষেপ করে জানান, সড়কের বেহাল দশায় যাত্রীরা এখন গাড়িতে উঠতে চান না। ফলে অলস বসে সময় পার করতে হচ্ছে তাদের।
তারা আরো জানান, উপজেলা সদর বাজার থেকে ডুমুরিয়া বজার হয়ে ফলতিতা পর্যন্ত সড়কটি ৭ বছর আগে নির্মাণ হয়। নির্মান কাজে নিম্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের কারণে অল্পদিনের মধ্যেই কার্পেটিং উঠে বড়বড় গর্ত সৃষ্টি হয়। এক সময় এই সড়ক ব্যবহার করে প্রতিদিন চার শতাধিক যানবহন চলাচল করলেও সড়কের বেহাল দশায় এখন এই পথে আর কেউ চলাচল করতে চায়না।
বাগেরহাট সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিছুজ্জামান মাসুদ, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি প্রায় ২৩ কিমি লম্বা। এটির একটি ইস্টিমেট ইতোমধ্যে পাঠানো হয়েছে। ইস্টিমেট পাশ হলে টেন্ডার আহবান করা হবে।