1

বশেমুরবিপ্রবি’র আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলা, আহত ২০

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে বহিরাগতরা। এসময় অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এর আগে ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে সকল শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে উদ্ভুত জরুরি পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত রাখতে, বিবাদমান গ্রুপসমূহের মধ্যকার মতানৈক্য নিরসনে এবং সম্ভাব্য অপ্রত্যাশিত ঘটনা এড়াতে রিজেন্ট বোর্ডের সম্মানিত সদস্যগণের মৌখিক অনুমতির প্রেক্ষিতে আসন্ন পূজার নির্ধারিত ছুটির সাথে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৩ অক্টোবর তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহের শিক্ষার্থীদের সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলো।

এদিকে, ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে আজ শনিবার তৃতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীরা আমরন অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।

এর আগে ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে পদত্যাগের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা। পরে বিকাল থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, আমার এখনো আদেশের চিঠিটি পাইনি। তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও হল ত্যাগের নির্দেশের বিষয়টি আমরা শুনেছি। আমাদের একমাত্র দাবি ভিসির পদত্যাগ। ভিসি পদত্যাগ করলেই আন্দোলন থেকে সরে যাবো। না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার প্রফেসর ড. মো. নুরউদ্দিন আহমেদ ছুটি ও হল ত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, উদ্ভুত পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছি।

প্রসঙ্গত, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কার করলে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ তুলে নিলেও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।