1

পরমাণু যুদ্ধের ঝুঁকিতে ভারত-পাকিস্তান

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের উত্তেজনা চলছে। এই উত্তেজনা পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নেওয়ার বড় ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ সতর্কবার্তা দিয়েছেন। সংবাদসংস্থা আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেছেন।

কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যথাযথ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে ইমরান খান বলেন, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে তাতে পুরো বিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

তিনি বলেন, যুদ্ধ হলে কাশ্মীর ও নিজেদের স্বাধীনতার জন্য মৃত্যু পর্যন্ত যুদ্ধ করবে পাকিস্তান।

আল জাজিরাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য পাকিস্তানের সামনে খুব অল্প উপায়ই আছে। তিনি বলেন, কাশ্মীরে ভারতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমরা আন্তর্জাতিক সংগঠনের কাছে যাওয়া ছাড়া তেমন কিছুই করতে পারি না। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর গড়ে ওঠা এসব আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর মধ্যে প্রধান সংগঠন হলো জাতিসঙ্ঘ।

ইমরান খান বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও ইউরোপীয় দেশগুলোর দ্বারস্থ হয়েছে পাকিস্তান। নয়াদিল্লী কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করার পর এ ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হালকা যে প্রতিক্রিয়া হয়েছে অর্থ্যাৎ উদাসীনতার বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন ইমরান খান।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলো, বড় বড় পরাশক্তিগুলো অর্থনীতির কথা চিন্তা করছে। কিছু দেশ ভারতকে ১০০ কোটি মানুষের একটি বড় বাজার হিসেবে দেখছে। তারা এটা অনুধাবন করছে না যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কাশ্মীর ইস্যুতে যদি এখনই হস্তক্ষেপ না করে, তাহলে তা যে করুণ পরিণতি বয়ে আনবে তাতে শুধু এই উপমহাদেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে এমন নয়। পুরো বিশ্বের বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

এর আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘দুর্ঘটনাক্রমে যুদ্ধ’ শুরু হয়ে যেতে পারে। এ বক্তব্যের সঙ্গে একমত কিনা জানতে চাইলে ইমরান বলেন, অবশ্যই একমত। এখন যা ঘটছে তা হলো, ভারত কাশ্মীরে গণহত্যা চালাচ্ছে। কাশ্মীরের জনগণের ওপর যে জাতিগত নিধনযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি বাড়িঘরে আক্রমণ করা হচ্ছে, আমার মনে হয় না- নাৎসী জার্মানির পর তা আর কোথাও হয়েছে।