1

দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা

দেশের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও পার্বত্য অঞ্চলের ১১টি জেলা বন্যাকবলিত হয়ে পরেছে। ১৪টি নদীর পানি ২৬টি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, আগামী ৩ দিনে দেশের প্রধান নদীর পানি বেড়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে জানা যায়, কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নদে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া দুধকুমার, গংগাধরসহ সংকোষ নদীর পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে দুই লক্ষাধিক মানুষ। তলিয়ে গেছে রাস্তা ঘাট। ডুবে গেছে সবজিসহ আমনের বীজতলা। ভেসে গেছে কয়েক হাজার পুকুরের মাছ।
নিরাপদ খাবার পানির অভাবে রয়েছে পানিবন্দি মানুষ। বন্ধ দেয়া হয়েছে ৩০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।   জামালপুরে যমুনার পানি বেড়ে বন্যার পুস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে বিপদসীমার ১১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে পানি।। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ১৪৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।  ভৈরবে মেঘনাসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
মৌলভীবাজারে কুশিয়ারা নদীর পানি বেড়ে কমপক্ষে ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  এছাড়া গাইবান্ধায় ভেঙে গেছে শহর রক্ষা বাঁধ। যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে ৩৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ সকালে বিপদসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নদী তীরবর্তী ৫টি উপজেলার প্রায় ১৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। বন্যা কবলিত মানুষ বাড়ি ঘর ছেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যার্তদের জন্য ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।  পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন দিন যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।