1

গোপালগঞ্জে সহকারী শিক্ষকের হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় সহকারী শিক্ষকের হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই প্রধান শিক্ষক উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

মঙ্গলবার উপজেলার লোহারংক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি নিয়ে বিদ্যালয়টির ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ঘটনার দিন সহকারী শিক্ষক ফিরোজা খানম দেরি করে বিদ্যালয়ে আসেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক লিপটি রানী পাল মৌখিকভাবে ফিরোজা খানমের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রধান শিক্ষক লিপটি রানী পালকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও গালমন্দ করেন।

লিপটি রানী পাল বলেন, ফিরোজা খানম প্রায়ই দেরি করে বিদ্যালয়ে আসেন। বিদ্যালয়ের কাছে তার বাড়ি হওয়ার কারণে দুই-একটি ক্লাস নিয়েই বাড়ি চলে যান। এ বিষয়ে কোনো অভিভাবক কিছু বললে ফিরোজা খানম অভিভাবকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

আমি কখনও কিছু বললে তিনি আমাকে প্রায়ই মারতে আসেন। আমি বিষয়টি বিভিন্ন সময়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ আমার অফিসারদের জানিয়েছি। কিন্তু আমি কোনো প্রতিকার পাইনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক অভিভাবক বলেন, ফিরোজা খানম বিদ্যালয়ের সময়মতো উপস্থিত হন না। ঠিকভাবে ক্লাস নেন না। বিদ্যালয়ের যত সময় থাকে, তার অধিকাংশ সময়ে মোবাইলে কথা বলেন। আমরা কেউ কিছু বললে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।

ফিরোজা খানম বিদ্যালয়টির শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করে ফেলেছে। তার কাছ থেকে শিক্ষার্থীরা কোনো নীতিনৈতিকতা শিখতে পারছে না। আমরা আমাদের সন্তানদের শিক্ষাজীবন নিয়ে চিন্তায় আছি।

এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক ফিরোজা খানমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক লিপটি রানী পাল মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আমাকে হয়রানি করছেন।

বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুছা বিশ্বাস বলেন, ফিরোজা খানমকে আমরা অনেকবারই সংশোধন হতে বলেছি। কিন্তু তিনি আমাদের কথা শোনে না। বিষয়টি আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে জানিয়েছি।

উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার বিদ্যারতন বিশ্বাস বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে যদি সহকারী শিক্ষক ফিরোজা খানম দোষী হয় তা হলে বিভাগীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।