1

কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি বাস্তবায়ণ করতে হবে : কৃষি মন্ত্রী

কৃষি মন্ত্রী ড.মো.আব্দুর রাজ্জাক বলেন,সরকারের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে কৃষককে লাভবান করা। এ জন্য কৃষি যান্ত্রিকীকরণের কাজ অবশ্যই বাস্তবায়ণ করতে হবে। কোন এলাকায় কি ধরণের যন্ত্র প্রয়োজন তা নিরূপণ করে যন্ত্র সরবরাহ করতে হবে। যন্ত্রপাতির মূল্য কৃষকের সহনীয় পর্যায়,এর কার্যকারিতা ও গুণগতমান অবশ্যই সঠিক হতে হবে।

রোববার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাঠ পর্যায়ে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি তথা কম্বাইন্ড হারভেস্টর,রিপার ও রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের অনুকূলে কৃষি ভর্তুকি প্রদান প্রস্তাবনা বিষয়ক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সরকার খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। আমরা এমন যন্ত্র আমদানি করবো যাতে সবাই ব্যবহার করতে পাড়ে। যন্ত্র মেরামতের ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়া সরকার যে পরিমান টাকার প্রণোদনা বাবদ দিবে যন্ত্রের বাকি টাকা কৃষক কিভাবে পরিশোধ করবে তাও দেখা হবে।

কৃষি সচিব মো.নাসিরুজ্জামান বলেন, আমাদের প্রাধান্য থাকবে ভালো মানের যন্ত্র। মেশিন পরীক্ষা করে মূল্যায়ন করতে হবে। প্রাথমিক মূল্যায়নের পরে ব্যবহার করার পরেও মূল্যায়ন করেত হবে। একই মেশিন দিয়ে বিভিন্ন প্রকৃতির জমি চাষ করা যায় কিনা। তিনি আরও বলেন এ পর্যন্ত লিখিত আকারে যে চাহিদা আমরা পেয়েছি বাস্তবে ক্রয়ের সময় সে সংখ্যা কম বেশি হতে পারে তা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে।

সভায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মেশিনের কার্যকারিতা,মূল্য ও স্থায়ীত্বরওপর উপস্থপানা করা হয়। এসময় মেশিনের সুবিধা অসুবিধা তুলে ধরা হয়। বিভিন্ন এলাকায় এযাবত কৃষি যন্ত্র দ্বারা কে কত টাকা আয় করেছে তাও উত্থাপন করা হয় সভায়। সভায় জানানো হয় ইতিমধ্যে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের কাছে তাদের কৃষি যন্ত্র বিক্রির জন্য প্রস্তাব দিচ্ছে।

কৃষি যন্ত্রের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়। কমিটিকে এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

সভায় উপস্থিত সকলেই কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ব্যাপারে খুবই আশাবাদি।