1

‘কালা পাহাড়ে’র দাম ২০ লাখ

সাড়ে তিন বছর বয়সের গরুটি দেখতে একেবারে কালো। তাই সখ করে গরুর মালিক তার নাম রেখেছেন কালো পাহাড়।

সাড়ে তিন বছর ধরে চলছে তার লালন-পালন ও সেবা-যত্ন। বর্তমানে গরুটির ওজন হয়েছে প্রায় ৩৫ মনের মতো। আসছে ঈদুল আজহায় গরুটি বিক্রি করা হবে। তাই পরিবারের সবাই মিলে গরুটির সেবা-যত্নে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এদিকে বিশাল আকৃতির কালা পাহাড়কে দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছেন লোকজন। রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুর ইউনিয়নের ইলিশকোল গ্রামের আদর্শ খামারি মো. কাসেদ খান এই গরুটির মালিক। তিনি জানালেন, প্রতিদিন তার খামারে বিশাল আকৃতির এই কালা পাহাড়কে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছে। তার খামারে এবার আরও ১২টি গুরুকে দেশীয় খাবার খাইয়ে কুরবানির জন্য মোটাতাজা করা হয়েছে। কাসেদ খানের প্রতিটি গরুরই ওজন ১৫ থেকে ২০ মণের ওপরে। তিনি আরও বলেন, পাঁচ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ান জাতের দুটি গাভী ক্রয় করি। পরে গাভীর দুটি বাচ্চা পছন্দ হওয়ায় লালন-পালন শুরু করি। এর মধ্যে একটি বাচ্চা গেল কুরবানির ঈদে ১০ হাজার টাকা বিক্রি করি। আর কালা পাহাড়কে তিন বছর ধরে লালন–পালন করছি। গরুটির ওজন বর্তমানে ৩৫ মণ। এর দাম চেয়েছি ২০ লাখ টাকা। এরই মধ্যে ঢাকার এক ব্যাপারি গরুটির দাম ১৫ লাখ টাকা বলেছেন। কিন্তু ঈদের এখনও দেরি আছে। তাই আরেকটু বেশি দামের আশায় গুরুটি বিক্রি করেনি। গরুটি বাজারে নেয়ার কোনও ইচ্ছে নাই জানিয়ে কাসেদ খান বলেন, প্রতিদিন বাড়িতে ক্রেতা আসছে। আশা করি বাড়িতেই গরুটি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব। গরুটি কিভাবে লালন-পালন করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কালা পাহাড়কে প্রতিদিন কলা, ছোলা, খড়, ভুট্টা, আলু, মিষ্টি আলু, ভুষি, খুদ, কাঁচা ঘাস দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার খাওয়ানো হয়। আর বিশাল আকৃতির গরুটি ঠাণ্ডা রাখতে দিনে পাঁচ থেকে ছয়বার গোসল করানো হয়। এছাড়া গরুটিকে সারাক্ষণ বাতাসের মধ্যে রাখার জন্য ফ্যানের ব্যবস্থাও আছে।

বহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম জানান, কাসেদ খান তিন বছর যত্ন করে ৩৫ মণ ওজনের এই কালা পাহাড়কে গড়ে তুলেছেন। আশা করি তার কষ্ট সফল হবে। তিনি ভালো দামে গরুটি বিক্রি করতে পারবেন।