1

ইবির ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মামলা, ফটকে তালা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালনের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মামলা করেছেন প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান । এই মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সোমবার দুপুর ১টায় ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা।

প্রধান ফটকে তালা দেওয়ার ফলে ক্যাম্পাস হতে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ রুটে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বহনকারী বাসগুলো আটকা পরে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের।

পরে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশীদ আসকারীর সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় ভিসি বলেন, এটা ড. মাহবুব রহমানের ব্যক্তিগত বিষয়। তবুও আমরা বাদী ও বিবাদীর সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা আন্দোলন থেকে সরে আসেন।

জানা যায়, গত ২৩শে সেপ্টেম্বর ডিবিসি চ্যানেলে ‘মানচিত্র: বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থিরতা’ বিষয়ক লাইভ অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেন ইবি ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক। ওই লাইভ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন সময়ে প্রক্টর মাহবুব ছাত্রশিবিরের নেতৃত্ব দিতেন। এছাড়াও ড. মাহবুব রহমানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের মূল হোতা, শিক্ষার্থীদের হুমকি, ছাত্রলীগের ওপর গুলিবর্ষণের নির্দেশদাতা হিসেবেও অভিযোগ করেন লালন।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ অক্টোবর কুষ্টিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইবি আমলি আদালতে লালন ও ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মুনজুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ড. মাহবুবর রহমান। এর আগে ড. মাহবুব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতি বরাবর অভিযোগ করে বিচারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে বিবাদী মিজানুর রহমান লালন বলেন, তিনি আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন তা টিকবে না। আমার কাছে যে তথ্য-প্রমাণ রয়েছে তা আদালতে পেশ করলে তার করা মামলা মিথ্যা ও ভুয়া হিসেবে পরিগণিত হবে। আর ড. মাহবুবর রহমানকে আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বলে অভিহিত করেছিলাম যা আমার ভুল হয়েছে। এটা আমি স্বীকার করছি।

এ বিষয়ে মামলার বাদী ড. মাহবুবর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সমূহের তথ্য প্রমাণ দিতে পারলে আমি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাব। আর যদি তথ্য প্রমাণ না দিতে পারে তাহলে আনুষ্ঠানিকভাবে আমার সততার স্বীকৃতি দিতে হবে। এ বিষয়ে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।